রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’কে পাথেয় করে একাকী পথ হাঁটছেন বছর ৩২ এর রাজেশ্বরী সিংহ। বর্জ্য উৎপাদন কমানোর বার্তা নিয়ে গত ২২ এপ্রিল ‘ধরিত্রী দিবস’এর দিন গুজরাতের ভদোদরা থেকে পথ হাঁটা শুরু করেছেন এই যুবতী। লক্ষ্য, পায়ে হেঁটে চার রাজ্যের এক হাজার ১০০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আগে দিল্লি পৌঁছনো এবং পরিবেশ রক্ষার বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। রাজেশ্বরীর এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ এবং গুজরাত সরকার। রাজেশ্বরী জানিয়েছেন, বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলেন কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দেখা যায় না।
নিজের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের কাছে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে রাজেশ্বরী এতটাই আগ্রহী যে নিজের এই দীর্ঘ যাত্রা পথে পরিবেশ দূষিত হয় বা বর্জ্য উৎপাদন হয় এমন কিছুই ব্যবহার করছেন না তিনি। সঙ্গে নিয়েছেন মোবাইল ফোন, টাকার ব্যাগ আর কিছু জামা কাপড়। রাজেশ্বরী জানিয়েছেন, পথে জল তেষ্টা পেলে সাধারণ মানুষের থেকে জল চেয়ে খাচ্ছেন তিনি। কিন্তু প্লাস্টিকের বোতল বা প্লাস্টিকের কিছুই তিনি ব্যবহার করছেন না। এই প্রখর গরমে রোজ ৩০ থেকে ৩৫ কিমি পথ হাঁটছেন যুবতী। গরমের হাত থেকে বাঁচতে রোজ ভোর সাড়ে চারটেয় পথ হাঁটা শুরু করছেন তিনি। মাঝে দুপুরে বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যেবেলায় ফের শুরু করছেন হাঁটা।
রাজেশ্বরীর মতে, আমরা বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে বেশি জোড় দিই, কিন্তু বর্জ্য উৎপাদন কমানোর দিকেও আমাদের নজর দেওয়া উচিত। গুজরাত, রাজস্থান, হরিয়ানা হয়ে দিল্লি যাবেন তিনি। তাঁর এই পদযাত্রা ছুঁয়ে যাবে চার রাজ্যের ২২টি শহর।