বাংলাদেশের টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে গেল মোহনবাগান, চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারালো ১-০ ব্যবধানে তুললেন সুহের
বাংলাদেশের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উঠল মোহনবাগান। শুক্রবার মরণ-বাঁচন ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১-০ গোলে হারালো মোহনবাগান। মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন কেরালার স্ট্রাইকার ভিপি সুহের। বাংলাদেশে মোহনবাগানের এই জয়ে উচ্ছ্বাসে মাতলেন এপার বাংলার মোহনবাগান সমর্থকরা।
মোহনবাগানের কাছে শুক্রবারের ম্যাচটি ছিলো ‘ডু অর ডাই’। সেমিফাইনালে উঠতে গেলে ম্যাচটি জিততেই হতো কিবু ভিকুনার দলকে। কারণ, শুক্রবার অন্য ম্যাচে ইয়ং এলিফ্যান্ট জিতে যাওয়ায়, মোহনবাগানের কাছে জয় ছাড়া সেমিফাইনালে ওঠার আর কোনও সমীকরণ ছিল না। এদিন গত ম্যাচের দলে দুটি পরিবর্তন করেছিলেন মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনা। গুরজিন্দরের জায়গায় দলে এসেছিলেন ধনচন্দ্র সিংহ। স্প্যানিশ স্ট্রাইকার সালভা চামোরোর জায়গায় এসেছিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ফ্রান গঞ্জালেজ। অন্যদিকে, ম্যাচ শুরুর আগে সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায়, প্রথম একাদশের ৬ জন ফুটবলারকে বাইরে রেখেই নেমেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। তবে তাতেও প্রথমার্ধে গোল পায়নি মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পাওয়ার জন্য ঝাঁপায় মোহনবাগান। ৬০ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় তারা। চট্টগ্রামের রক্ষণের ভুলে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন সুহের। দু’মিনিট বাদেই অবশ্য গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারতো মোহনবাগান। সুহেরেরই শট দুরন্ত দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন চট্টগ্রাম গোলরক্ষক। গোল হজম করার পরই প্রথম একাদশের তিন ফুটবলারকে মাঠে নামান চট্টগ্রাম কোচ। বিশেষ করে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল নামার পরে চাপ পড়ে মোহনবাগান ডিফেন্সে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চট্টগ্রামকে হারিয়ে সেমিফাইনালে মোহনবাগান।
Comments are closed.