যা কিছুই ঘটুক, নাগরিকত্ব আইন লাগু হবেই, সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Come What May)। দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলনের মুখে কোনওভাবে পিছু হঠবে না মোদী সরকার, মঙ্গলবার জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি।
বিরোধীদের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ উপেক্ষা করে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া ছয় অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মোদী সরকার। দিল্লির দ্বারকা এলাকার এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, যা কিছুই ঘটুক না কেন মোদী সরকার অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবেই, যাতে তাঁরা সম্মানের সঙ্গে এ দেশে বাস করতে পারেন (Come What May)।
অমিত শাহ যোগ করেন, আমি সমস্ত পড়ুয়া ও মুসলিম ভাই-বোনদের বলতে চাই কেন্দ্রের এই আইনে ভয়ের কিছু নেই। কেউই নাগরিকত্ব হারাবেন না। এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার, কেড়ে নেওয়ার নয়। প্রয়োজনে সংসদের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে কেন্দ্রের এই আইন সম্পর্কে জানুন, মন্তব্য স্বরাষ্টমন্ত্রীর।
সেই সঙ্গে বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, বিরোধীরা আন্দোলনকারীদের ভুল পথে চালিত করছে। মঙ্গলবার ইন্ডিয়া ইকোনমিক কনক্লেভে যোগ দিয়েও একই বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রের নয়া আইনের প্রতিবাদে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, জেএনইউ, উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় এবং লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অমিত জানান, মনে রাখা উচিত দেশে ৪০০ টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আর প্রতিবাদ হচ্ছে মাত্র ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নিগ্রহের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেন, যারা ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর কাজে যুক্ত ছিল, শুধু তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। তাঁর কথায়, কোনওরকম হিংসার ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয়।
অমিত শাহ দাবি করেন, জামিয়া মিলিয়ায় ঘটনা থেকে পরিষ্কার যে ওখানে পড়ুয়াদের চেয়ে বেশি সংখ্যক বহিরাগত ছিল। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তারা বাসে আগুন লাগাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আর কীভাবে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ, প্রশ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এ দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভা থেকে অভিযোগ করেন, নিজেদের এজেন্ডা পূরণ করতে পড়ুয়াদের বিপথে চালনা করছে নকশালরা।
Comments are closed.