মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বিষ্ণুপুর সঙ্গীত উৎসব (Bishupur Gharana Music)। আয়োজক রাজ্যের পর্যটন দফতর। তিনদিন ধরে স্থানীয় পোড়া মাটির হাটে বিষ্ণুপুর সঙ্গীত উৎসব, ২০২০ চলবে।
উদ্বোধনী সঙ্গীত উপস্থাপনায় এশিয়া মহাদেশের প্রাচীন সঙ্গীত কলেজ রামশারণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে হাজির থাকবেন রাজ্য পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, রাজ্য পর্যটন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তী, বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস, বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি প্রমুখ।
প্রাচীন মল্লভূম রাজ্যের রাজধানী বিষ্ণুপুর বলতেই বোঝায় টেরাকোটার অপরূপ শৈলীর মন্দির, বালুচরী, স্বর্ণচরীর অপূর্ব কাজ করা শাড়ি আর বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীত। সঙ্গীতাচার্য যদুভট্টের জন্মস্থান এই বিষ্ণুপুরে রাধিকাপ্রসাদ, জ্ঞান গৌঁসাই প্রমুখ বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীতকে নিয়ে গিয়েছেন এক চরম উৎকর্ষের জায়গায়। সেই সনাতনী ঐতিহ্য, কলা, শিল্প ও সঙ্গীতের মেলবন্ধনকে ছড়িয়ে দিতে এ বছরও রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে বিষ্ণুপুর সঙ্গীত উৎসব। বিষ্ণুপুরের নিজস্ব ঘরানার সঙ্গীত ধ্রুপদ, মল্লগীতি, বাউল, ভাটিয়ালি ছাড়া ভিন রাজ্যের গড়বা, বিহু, ওড়িশি সঙ্গীত সমাহারে সমৃদ্ধ বিষ্ণুপুর সঙ্গীত উৎসব এ বছরও আলাদা মাত্রা যুক্ত করবে।
আগামী ১০ জানুয়ারি, শুক্রবার এই সঙ্গীত উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন শিল্পী জগন্নাথ দাশগুপ্ত, অনির্বাণ দাস ও দীপ্তম সিনহা বিশ্বাস। তারপর থাকছে শ্রী শঙ্কর নারায়ণ স্বামীর অনুষ্ঠান। পর দিন থাকছে বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীত শিল্পী সুজিত গঙ্গোপাধ্যায়, অসিত রায়ের অনুষ্ঠান। থাকছে গিটার শিল্পী দেবাশিস ভট্টাচার্য, বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীত শিল্পী সুভাষ কর্মকার প্রমুখের অনুষ্ঠান। ১২ তারিখের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে থাকছেন শিল্পী সুভাষ কর্মকার, বামাপদ চক্রবর্তী, আব্দুল আজিজ ও সরোদ শিল্পী তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার।
মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো উৎসব কিংবা ওড়িশার কোনারক উৎসবের চেয়ে কোনও অংশে কম নয় বিষ্ণুপুর সঙ্গীত উৎসব (Bishupur Gharana Music)। দেশ-বিদেশের সঙ্গীত অনুরাগীরা প্রতিও বছর এই উৎসবে ভিড় জমান।
Comments are closed.