দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) হিসেবে নিযুক্ত হলেন সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। এই প্রথম ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান হিসেবে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হল। মঙ্গলবারই সেনাপ্রধান হিসেবে অবসর নিলেন বিপিন রাওয়াত। সোমবার তাঁর নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়। নতুন সেনাপ্রধান হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুকুন্দ নারাভনে।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাওয়াত বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধানের বিশাল দায়িত্বভার আছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। এবার তিন বাহিনীর প্রধান হিসেবেও পরিকল্পনামাফিক এগোবেন বলে জানান রাওয়াত।
তিন বাহিনীর প্রধান হিসেবে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কোনও ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষমতা পেলেন জেনারেল রাওয়াত। সেই সঙ্গে ভারত সরকারের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব রয়েছে তাঁর। দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে যে বেতন পেতেন, নতুন পদেও তাই পাবেন। তবে তিন বাহিনীর প্রধানকে কোনও সামরিক নির্দেশ দিতে পারবেন না তিনি। প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসেবে বয়সসীমা রাখা হয়েছে ৬৫ বছর।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় গঠিত এক কমিটি প্রতিরক্ষা দফতরের প্রধানের পদ গঠনের পরামর্শ দেয়। চলতি বছরে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বছরই এই সামরিক পদটি তৈরি হবে। যা ভারতীয় সেনাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী।দিন কয়েক আগে নয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের অংশ গ্রহণ নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। তা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখেও পড়নে রাওয়াত। বিজেপিকে খুশি করতেই তিনি ছাত্রদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। প্রাক্তন সেনা কর্তাদের অনেকেই তাঁর কথার প্রতিবাদ করে বলেন, তিনি পদের সীমারেখা লঙ্ঘন করে রাজনীতি নিয়ে মুখ খুলে ঠিক কাজ করেননি। কংগ্রেস রাওয়াতের অপসারণও দাবি করে। তিনি সিডিএস হওয়ায় ফের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেছে। সিডিএসের ভূমিকা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সোমবার বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছে।
Comments are closed.