কম্পিউটার পরিচালনা সহজ করতে ‘কাট, কপি, পেস্ট’ কম্যান্ড আবিষ্কার করেছিলেন নিউ ইউর্কের ব্রঙ্কসের কম্পিউটার বিজ্ঞানী লরেন্স ল্যারি টেসলার। গত সোমবার ৭৪ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে সিলিকন ভ্যালিতে শোকের ছায়া। জেরক্স, যেখানে কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন টেসলার, তারাই প্রথম এই মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে। সংস্থার ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, ‘কাট, কপি, পেস্ট, ফাইন্ড, রিপ্লেস’ এবং আরও বেশ কিছু কম্যান্ডের আবিষ্কর্তা, জেরক্সের প্রাক্তন গবেষক ল্যারি টেসলার আর নেই। তাঁর বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডে আজ পৃথিবীজুড়ে মানুষের কাজ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ ল্যারি, লেখা হয় জেরক্সের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক টেসলার মানুষ ও কম্পিউটারের মধ্যে সম্পর্ক সহজ করতে জীবনভর গবেষণা চালিয়ে গিয়ছেন। তাঁর কর্মক্ষেত্রের বিষয় ছিল ‘হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টারঅ্যাকশন’। টেসলারের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ফসলের সাহায্য পেয়েছে অ্যামাজন, অ্যাপেল, ইয়াহু, জেরক্স, পালো আল্টো রিসার্চ সেন্টারের (পার্ক) মতো প্রযুক্তি জগতের বিখ্যাত সব সংস্থা।
জেরক্স ছেড়ে ১৯৮০ সালে স্টিভ জোবসের হাত ধরে অ্যাপেল সংস্থায় কাজ শুরু করেন টেসলার। কম্পিউটারে কাজ আরও সহজ করা ও দ্রুত কীভাবে করা যায়, সেই ভাবনা থেকেই ‘কাট, কপি, পেস্ট’ কম্যান্ড সৃষ্টি করে ফেলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে অ্যাপেলের লিজা কম্পিউটারের সফটওয়্যারে প্রথম এই কম্যান্ড ব্যবহার হয়। সেখান থেকেই শুরু। এরপর কম্পিউটার জগতের বিবর্তনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন টেসলার। একাধিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের বিবর্তন ঘটেছে তাঁর হাত ধরে। ১৭ বছর ধরে অ্যাপেল সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন, ছিলেন সেখানকার গবেষকদের প্রধান। তারপর অ্যামাজন, ইয়াহুর মতো বিখ্যাত সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন ‘কাট, কপি, পেস্ট’ এর জনক লরেন্স।
Comments are closed.