দিল্লির হিংসা ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করার অভিযোগে এবিভিপি ছাত্রদের এফআইআরের ভিত্তিতে গ্রেফতার শিক্ষক।
অসমের শিলচরের গুরুচরণ কলেজের গেস্ট লেকচারার সৌরদীপ সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বোঝাতে চেয়েছেন, ২০০২ সালে গুজরাতে গোধরা-কাণ্ড ঘটিয়েছিল বিজেপি ও আরএসএস। সেই একইভাবে দিল্লি হিংসা সংঘটিত হয়েছে। এ নিয়ে শুক্রবার পদার্থবিদ্যার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করেন কয়েকজন পড়ুয়া। তাঁরা আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির সমর্থক বলে খবর। শিলচর সদন থানায় করা এফআইআরে তাঁদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লাগাতার কটাক্ষ করে গিয়েছেন এবং তিনি সনাতন হিন্দু ধর্মকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। পদার্থবিদ্যার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর কলেজের পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি গণহত্যাকারী বলে দাবি করেছেন এবং দিল্লি হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন হিন্দুদের কটাক্ষ করছেন। তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে ধর্মীয় হিংসা ছড়াতে পারে বলে এফআইআরে দাবি করেছেন পড়ুয়ারা। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করে ইটখোলার বাসিন্দা ওই শিক্ষককে। তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এফআইআরের পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদনপত্রে সৌরদীপকে বরখাস্ত করার আর্জি জানান পড়ুয়ারা। আবেদনপত্রেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, দিল্লি-হিংসায় ৪২ জনের প্রাণ হারানোর মূলে হিন্দু সম্প্রদায়কে দায়ী করেছেন তিনি। এফআইআর ও আবেদনপত্রের একটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে করণজিৎ দেব নামে এক ছাত্রের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে। তিনি আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির সম্পাদক বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওই কলজের অধ্যক্ষ জানান, সৌরজিৎ সেনগুপ্তকে ইস্তফা দেওয়ানোর জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
সৌরদীপ অবশ্য তাঁর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট সরিয়ে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে লিখেছিলেন, যদি তাঁর মন্তব্যে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে কারও ধর্মের প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করেননি।
Comments are closed.