জামিনে মুক্ত শিলচরের বাঙালি অধ্যাপক সৌরদীপ, কোর্টের নির্দেশ ছাড়া যেতে পারবেন না শিলচরের বাইরে

চার দিন বাদে জামিন পেলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগে ধৃত অসমের শিলচরের গুরুচরণ কলেজের গেস্ট লেকচারার সৌরদীপ সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার ১৫ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে ২৫ বছরের এই শিক্ষকের জামিন মঞ্জুর করেছে শিলচর আদালত।
এবিভিপি কর্মীদের এফআইআরের ভিত্তিতে গত শুক্রবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনীকে তাঁর ইটখোলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত সৌরদীপ সেনগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করে জানিয়েছে, পুলিশি তদন্তে সবরকম সহায়তা করতে হবে তাঁকে এবং আদালতের অনুমতি ছাড়া শিলচরের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি।
পদার্থবিদ্যার শিক্ষক সৌরদীপ সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ এনে শুক্রবার এফআইআর করেন কলেজের কয়েকজন পড়ুয়া। তাঁরা সবাই এবিভিপির সদস্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিল্লি হিংসা নিয়ে একাধিক পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে সৌরদীপ সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ২০০২ সালে যেমন গুজরাতে গোধরা কাণ্ড ঘটিয়েছিল বিজেপি ও আরএসএস, একইভাবে দিল্লি হিংসা সংঘটিত হয়েছে। এফআইআরে অভিযোগ করা হয়, শিক্ষক সৌরদীপ সেনগুপ্তর একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করছে এবং তিনি সনাতন হিন্দু ধর্মকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি গণহত্যাকারী বলে দাবি করেছেন। শিক্ষকের এই উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে ধর্মীয় হিংসা ছড়াতে পারে বলে এফআইআরে দাবি করেন পড়ুয়ারা। শুক্রবার এই এফআইআর দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করে ওই শিক্ষককে। তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।  যদিও তাঁর পোস্টের জন্য ক্ষমা চেয়ে তা ডিলিট করে দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক।
কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় বিএসসি পাশ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। বছর খানেক ধরে অসমের ওই কলেজে শিক্ষকতা করছেন সৌরদীপ।

Comments are closed.