উন্নাও ধর্ষিতার বাবাকে খুন, কুলদীপ সেঙ্গারের ১০ বছরের জেল

উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে ধর্ষিতার বাবাকে খুনে দোষী সাব্যস্ত বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল্লির তিস হাজারি আদালতের। শুক্রবার এই রায় দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত কুলদীপের ভাই অতুল সেঙ্গারকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এই দুই ভাইকে ধর্ষিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে কুলদীপকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা এবং ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
উন্নাওয়ে ধর্ষিতার বাবাকে খুনের ঘটনায় প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে এবার ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল দিল্লির আদালত। এই মামলায় কুলদীপের ভাই অতুল সেঙ্গারকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আদালত জানিয়েছে, ধর্ষিতার বাবাকে খুনের পরিকল্পনা সেঙ্গারদের ছিল না, কিন্তু মারের চোটে মৃত্য হয় তাঁর। গণধর্ষণের ঘটনায় কুলদীপকে আগেই যাবজ্জীবনের সাজা এবং ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
উন্নাও এর ধর্ষিতার বাবাকে মিথ্যে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে ২০১৮ এর ৩ এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বিচার চলাকালীনই থানার মধ্যে ৯ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়। তখন উন্নাওয়ের বিধায়ক পদেই ছিলেন কুলদীপ সেঙ্গার। তাঁর নির্দেশেই পুলিশ এই কাজ করে বলে প্রমাণ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই মামলা উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নেওয়া হয়।

কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ সামনে আসে ২০১৭ সালে। উন্নাও এর ধর্ষিতা তখন কিশোরী। সে জানায় তাঁকে কাজ দেওয়ার নাম করে অপহরণ করে টানা ন’দিন ধরে ধর্ষণ করেছিলেন উন্নাওয়ের বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে আলোড়ন পরে যায়।
পরিবারটির উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় বিধায়ক ও পুলিশের তরফে। মিথ্যে অভিযোগে নির্যাতিতার বাবাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেই দিন কয়েক বাদে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও লড়াই থামাননি নির্যাতিতা।

তবে গত বছর জুলাই মাসে ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। ঘটনায় গুরুতর আহত হন নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা। মৃত্যু হয় নির্যাতিতার দুই আত্মীয়ের। অভিযোগ, কুলদীপ সেঙ্গারই জেলে বসে নির্যাতিতাকে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন। সেই মামলার শুনানি এখনও কোর্টের বিচারাধীন।

Comments are closed.