করোনাভাইরাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ালে রেয়াত করা হবে না। মারণ ভাইরাস নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা চলবে না। এই ধরনের ভুয়ো খবর রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি পুলিশকে আরও মানবিক হওয়ার বার্তা দিয়ে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।
শুক্রবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে প্ররোচনামূলক কাজ করছেন। ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন। ভুয়ো তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মমতার কথায়, এক ডাক্তারবাবুর নাম করে বলা হচ্ছে, তিনি নাকি অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তা নিয়ে ফেসবুকে দিয়েছেন। পুলিশকে তদন্ত করতে বলছি। এই ধরনের প্ররোচনামূলক কাজ করা যাবে না
তিনি বলেন, এই সময় মানুষকে সাহায্য করা উচিত। তা না করে কেউ কেউ ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন। আমরা কিন্তু তাঁদের খুঁজে বের করবই। তিনি করোনা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতেও বারণ করেন। তাঁর কথায়, যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের হতেই পারে। কাল আমার হবে কি না কী করে জানব? কাল অনুজের হবে না, রাজীবের হবে কি না কী করে জানব? ঠাট্টা, মজা করছেন অনেকে। তাঁদের বলব, আগুন নিয়ে খেলবেন না। এটা ঠাট্টা করার সময় নয়। কখন কার কী হয়, কে বলতে পারে! তিনি জানান, এসটিএফ, সিআইডি, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে। কেউ ছাড় পাবেন না।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তা, পুলিশ প্রশাসনকে শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামলাতে হবে। মানবিকও হতে হবে। তিনি বলেন, কোথাও কেউ অসুবিধায় পড়লে সাহায্য করতে হবে। লকডাউনের প্রেক্ষিতে প্রশাসনকে আরও দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক থেকে এসপিদের মানবিক ভাবে মানুষের সমস্যা, অসুবিধার বিষয়গুলি দেখতে বলে তিনি জানান, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মোট ১২ টি অভিযোগ পেয়েছিলেন। সাত-আট জন পুলিশকর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশকে এক দিকে শক্ত হতে হবে, আবার মানবিকও হতে হবে। তাঁর কথায়, কেউ দোকানে ওষুধ কিনতে যাচ্ছেন, রেশন আনতে যাচ্ছেন, তাঁদের সাহায্য করতে হবে। আটকানো চলবে না। ক্ষমতার অপব্যবহার নয়। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মমতার বার্তা, কোথাও ভিড় বাড়াবেন না। কেন্দ্রের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণার প্রেক্ষিতে মমতা জানান, আগামী ৩১ মার্চ পর্যালোচনা বৈঠক হবে। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে লকডাউনের ব্যাপারে।
Comments are closed.