কার গাফিলতিতে হাওড়ায় দমকলকর্মীর প্রাণ গেল, তা খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ, আবার কখনও আমপান বিধ্বস্ত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সিইএসসির পরিষেবাহীনতার কারণে নিজে রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, বুধবার আমপানের রিভিউ বৈঠক শেষে এভাবেই কার্যত নরমে গরমে সিইএসসিকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনার মুখে পড়ল বাংলার সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র আনন্দবাজার পত্রিকা।
সাংবাদিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত খারাপ। তারপরই তিনি সরাসরি নাম করে সমালোচনা করেন আনন্দবাজার পত্রিকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা সরকারকে দুটো দিন সময় না দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে উত্তেজনা ছড়ালেন। সিইএসসির সঙ্গে আপনাদের কোনও ব্যক্তিগত ঝগড়া থাকতে পারে, আমার সাথেও সিইএসসির সদ্ভাব নেই। সেটা নিয়ে আপনারা রাজনীতি করলেন। মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছিল, আনন্দবাজার পত্রিকার খবরের কারণে সেই সাহায্য রাজ্য সরকার পায়নি। মমতা বলেন, আপনারা যে রাজ্যের কত বড় ক্ষতি করলেন, একদিন বুঝবেন, যেদিন নিজেদের এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ওই সংবাদমাধ্যমে কর্মীদের ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, যা ক্ষতি করার করেছেন, দয়া করে আর করবেন না। রাজ্য সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখে বলেই কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত দমকলকর্মীর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য এবং পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিইএসসির তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে, সিংহভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। বাকি কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম ও সিইএসসিকে ভবিষ্যতে এরকম দুর্যোগ মোকাবিলায় এখন থেকেই তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও আমপান বিধ্বস্ত এলাকা পুনর্গঠনে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। যুদ্ধকালীন গতিতে সেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
Comments are closed.