রেলের ৫০ কোটির সম্পত্তি চুরির অভিযোগে ধৃত বিতর্কিত শিল্পপতি পবন রুইয়া রাজভবন ঘনিষ্ঠ? বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে
নয়া বিতর্কে রাজভবন এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কোভিড পরিস্থিতে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং নিয়ে যেখানে রাজ্য সহ গোটা দেশে কড়া বিধিনিষেধ চলছে, সেই সময় সম্প্রতি পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে বিতর্কিত শিল্পপতি পবন রুইয়ার স্ত্রীর উদ্যোগে এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে রাজ্যপালের উপস্থিতি নয়া বিতর্ক তৈরি করেছে।
২০০৩ সালে পবন রুইয়া দমদমের জেশপ ফ্যাক্টরি অধিগ্রহণ করেন। তারপর ডানলপও অধিগ্রহণ করে রুইয়া গোষ্ঠী। কিন্তু তারপর থেকে বারবারই এই শিল্পপতিকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জেশপ ও ডানলপের মতো বৃহৎ দুই সংস্থার দায়িত্বভার নিলেও, শিল্প গড়ার কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। পবন রুইয়ার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করেছে সমস্ত শ্রমিক সংগঠন। কিন্তু লাগাতার অভিযোগ সত্ত্বেও বাম আমলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বললেই চলে। এই বিতর্কিত শিল্পপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে শ্রমিকদের বেতন সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধে ঠিকমতো না দেওয়ার। শ্রমিক সংগঠগুলি একাধিকবার অভিযোগ করেছে পবন রুইয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
এরই মধ্যে জেশপের প্রায় ৫০ কোটি টাকার রেলের সম্পত্তি চুরি হয়েছে বলে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট মামলা চালু করে সিআইডি। সেই কেসে পবন রুইয়াকে বারবার নোটিস পাঠানো হলে তিনি আগাম জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিলে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সিআইডি পবন রুইয়াকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে।
এই বিতর্কিত শিল্পপতি পবন রুইয়ার স্ত্রীর উদ্যোগে এক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ৫ জুন পরিবেশ দিবসের দিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের পর রাজভবনে লাঞ্চেও অংশ নেন পবন রুইয়ার স্ত্রী।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। যে শিল্পপতির বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার রেলের সম্পত্তি পাচারের অভিযোগ উঠেছে, তাঁর স্ত্রীর পরিচালিত সংগঠনের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Comments are closed.