ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শুক্রবার, ১৯ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। কংগ্রেস সহ সব বিরোধী দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বৈঠকে।
সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনা সংঘর্ষে দেশের এক কর্নেল সহ ২০ জওয়ান শহিদ হন। চিনের দিকেও ৪৩ জন হতাহত হয়েছেন বলে ভারতীয় সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে।
বুধবার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ এবং সেনার তিন বাহিনীর কর্তাদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। প্রধানমন্ত্রীও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও। কিন্তু ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি না দেওয়ায় বুধবার সকালে ট্যুইটারে তাঁকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরেই প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়, আগামী শুক্রবার বিকেল ৫ টায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতিকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার করোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত শান্তি চায়, কিন্তু প্ররোচনা দিলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। শহিদদের বলিদান বৃথা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে দু’মিনিট মৃত সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের বীর শহিদ জওয়ানদের বিষয়ে দেশবাসী গর্ব করতে পারে যে, তাঁরা মারতে মারতে মরেছেন। দেশের অখণ্ডতা আমাদের কাছে সবার উপরে। তা নিয়ে কোনও সমঝোতা করা হবে না।
Comments are closed.