পার্থ-দিলীপ-সুজনকে নিয়ে আমপান পর্যালোচনায় কমিটি গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী, গরিবকে বঞ্চনা নয়, নির্দেশ প্রশাসনকে

নবান্নের সর্বদল বৈঠক শেষ। সেখানে সবকটি রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি সর্বদলীয় কমিটি। সেই কমিটিতে থাকবেন পার্থ চ্যাটার্জি, বিজেপির দিলীপ ঘোষ, সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ। সেই কমিটি আমপানে বিধ্বস্ত এলাকার পুনর্গঠনের কাজ পর্যালোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করবে। সেই খসড়া গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই হবে কাজ। খসড়ার একটি কপি পাঠানো হবে কেন্দ্রের কাছেও। এছাড়া সুন্দরবনে নদী ও ভূপ্রকৃতির সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচানোর স্থায়ী সমাধানের জন্য রাজ্যের তরফে নীতি আয়োগকে চিঠি পাঠানো হবে। যাতে সুন্দরবন রক্ষায় একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে কাজ করা যায়। কেন্দ্রের বকেয়া টাকা পাওয়ার ব্যাপারেও রাজনৈতিক নেতারা সোচ্চার হবেন বলে বৈঠকে ঠিক হয়েছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার প্রশাসন এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বলেন, গরিব মানুষকে বঞ্চনা করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে সাহায্য করার প্রশ্নে দলীয় রঙ দেখলে চলে না। বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে যাঁরা লিস্ট থেকে বাদ গিয়েছেন, তাঁদের নাম ঢোকাতে হবে। রাজ্য সরকার একজনকেও বঞ্চনা করবে না, বলেন মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বা ভাঙচুর বন্ধ করতেও মানুষের কাছে আবেদন করেন মমতা। বলেন, দয়া করে ভাঙচুরের পথে যাবেন না, সঠিক জায়গায় শুধু অভিযোগ করুন, বাকিটা আমি দেখবো।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরানোর অভিযোগ উঠছে। বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সর্বদলীয় বৈঠক শেষে বেসরকারি হাসপাতালের কাছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, এটা ব্যবসা করার সময় নয়। মানুষকে পরিষেবা দিন। মমতা বলেন, করোনা যাতে বেলাগামভাবে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Comments are closed.