সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনে উঠে যাচ্ছে স্লিপার ক্লাস, সব বগি হচ্ছে এসি! ট্রেনের গতিবৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ রেল মন্ত্রকের
হাইস্পিড ট্রেন পরিষেবা দেওয়ার পথে বেশ কিছু রদবদল আনতে চলেছে ভারতীয় রেল। তার জেরে বাদ দেওয়া হচ্ছে স্লিপার কোচ। পরিবর্তে থাকছে বিশেষ বাতানুকূল কামরা। ইকনমিক টাইমসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যে কাপুরথালায় রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে বিশেষ এই কামরার প্রতিরূপ তৈরি করা হচ্ছে, যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ৭২ বার্থের স্লিপার কোচের বদলে নতুন বাতানুকূল কামরায় থাকছে ৮৩টি বার্থ। তবে ক্যুপের ভিতরে বার্থের সংখ্যা স্লিপার কোচের মতোই থাকছে। তবে বিশেষ কামরায় থাকছে না সাইড আপার ও সাইড লোয়ার বার্থের মধ্যস্থ মিডল বার্থ। কামরা থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সংযোগের সরঞ্জাম এবং যাত্রীদের কম্বল, চাদর এবং বালিশ রাখার জন্য নির্দিষ্ট কাবার্ড।
পুরো ট্রেন বাতানুকূল হলে রেলযাত্রার খরচও কি তবে বাড়বে? রেল মন্ত্রক জানাচ্ছে, এর জন্য বাড়তি খরচ করতে হবে না যাত্রীদের। দূরপাল্লার ট্রেনের গতি বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে বাতানুকূল কামরায় স্লিপারের খরচে আদৌ সফর করা যাবে কি না, সরকারিভাবে তার উত্তর মেলেনি।
এদিকে রেল মন্ত্রকের পরিকল্পনা, দেশের প্রতিটি দূরপাল্লার ট্রেনের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি সব স্লিপার কোচকেই বাতানুকূল করা হবে৷ দু’বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে শেষ করা হবে এই কাজ৷ রেল মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, দেশের রেল পরিষেবার সর্বস্তরে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতেই এই সিদ্ধান্ত। এই প্রসঙ্গে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও বিনোদকুমার যাদব বলেন, প্রতিটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বা তার বেশি গতিতে চলার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে সাধারণ কামরা। এই কোচগুলিতে বাতাস ও ধূলিকণার কারণে প্রযুক্তিগত সমস্যা তৈরি হয়৷ তাই ১,৯০০ মেল ও এক্সপ্রেসে কোচ পরিবর্তনের কাজ শুরু করা হচ্ছে৷’ রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরতলির লোকাল ট্রেন এবং ধীর গতির প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছাড়া বাকি সব দূরপাল্লার ট্রেনের কোচ পরিবর্তন করার কাজে হাত লাগানো হচ্ছে। লক্ষ্য, রেল জোনে বেসরকারি ট্রেন পরিষেবা শুরুর আগেই এই কোচ পরিবর্তন করার কাজ শেষ করা৷ আগামী বছরের মধ্যে এরকম প্রায় ২০০টি কামরা তৈরি করবে রেল, এমনই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.