দুর্গাপুজোর পর এবার আসছে দীপাবলি বা দিওয়ালি। সকলের বাড়িতেই চলছে সেই উৎসবের প্রস্তুতি। কোথাও হবে কালীপুজো, কোথাও হবে লক্ষ্মীপুজো বা গণেশপুজো। কিন্তু শুধু কি লক্ষ্মীপুজো, কালীপূজো? ভারতজুড়ে এমন প্রচুর পুজো হয়, যা হয়ত অনেকেরই অজানা। সেরকমই কিছু কথা জেনে নেওয়া যাক।
ত্রয়োদশী থেকে উৎসব শুরু হয়৷ ওই দিন ধনদেবতা কুবেরের পুজো করা হয়, যে কারণে এর নাম ধনতেরাস। সেই সময় সোনা-রুপো কেনেন অনেকেই। অনেকে বিশ্বাস করেন, ধনতেরাসের দিন সোনা-রুপা কিনলে, পরবর্তীকালে তা দ্বিগুণ হয়ে ঘরে ফিরে আসে। এটিকে শুভ ব্যলে মানা হয়। ধনতেরাসের পরই আসে ভূত চতুর্দশী৷ বাঙালিরা বিশ্বাস করেন, এই সময় তাঁদের ১৪ পুরুষের প্রেতাত্মা নেমে আসেন মর্ত্যে৷ তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে তর্পণ করা হয়।
ভূত চতুর্দশীর পর দুই বাংলায় পালিত হয় শ্যামাপুজো। খুব ধুমধাম করে কালীপূজা হয় এখানে। পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশে কিছু জেলায় এই দিন কালীপুজোর বদলে লক্ষীপুজোও করা হয়। লক্ষ্মীপুজো করা হয় অলক্ষ্মী বিদায়ের জন্য। যা কিছু অশুভ তাই হল অলক্ষ্মী। অলক্ষ্মীকে বিদায় করে লক্ষ্মীকে স্থাপন করা হয় ঘরে ঘরে।
এই সময় রামচন্দ্র ১৪ বছর বনবাস কাটিয়ে ফিরেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। সে সময় তার আগমনে অযোধ্যা সেজে উঠেছিল আলোয়। যে কারণে অমাবস্যাতে লক্ষ্মী, গণেশপুজো করা হয়। গোকুল ও মথুরায় পালিত হয় গোবর্ধনপুজো। এই সময় দেবরাজ ইন্দ্রের রোষে পরে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছিল গোকুলে। তখন শ্রীকৃষ্ণ ৮ দিন কড়ি আঙ্গুলে গোবর্ধন পর্বত ধরে রেখে গোকুলবাসীদের রক্ষা করেন। এই কারণে এই সময় গোবর্ধনপুজো করা হয়।
আবার দক্ষিণ ভারতে দিওয়ালির দিন হয় অন্নকূট পুজো। চাল, ফল, মিষ্টি, শুকনো ফল দিয়ে তৈরি করা হয় গোবর্ধন পর্বত বা অন্নকূট পর্বত৷ পুজো করা হয় সেই পর্বতকে৷ এরকম নানা বিধি ও পুজো পালিত হয় এই সময়। শুধুমাত্র কালী বা লক্ষ্মীপুজো ছাড়াও অন্যান্য পুজো হয়।
Comments are closed.