রাজ্যের ১৪ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও ৬৩৬ টি মাদ্রাসার মোট সাড়ে ৯ লক্ষ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার হাতে ট্যাব তুলে দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নবান্নে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা এবং লকডাউনের কারণে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করা কার্যত অসম্ভব। এদিকে সবার কাছে কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোন কেনার সামর্থ্য নেই। এবার সেই কথা ভেবে রাজ্যের সাড়ে ৯ লক্ষ স্কুল পড়ুয়াকে ট্যাব দেবে মমতার সরকার। যাতে বাড়ির অবস্থা যেমনই হোক, পড়াশোনা বন্ধ না হয়।
এজন্য কত টাকা খরচ হবে, কোন সংস্থা বরাত পাবে তা দ্রুত সেরে ফেলার নির্দেশ দেন মমতা। বলেন, অন্য ক্লাসের পড়ুয়াদের কীভাবে সাহায্য করা যায় তা ভেবে দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্কুলে এরকম ডিভাইস বসানো যায় কিনা খতিয়ে দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি রাজ্যের বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে কোভিড টেস্টের খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মমতা ব্যানার্জি জানান, এখন থেকে বেসরকারি ল্যাবে করোনার আরটি পিসিআর টেস্টের খরচ ১২৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯৫০ টাকা করা হয়েছে। এর বেশি কেউ নিতে পারবে না।
এর আগে দক্ষিণ ভারত বা অখিলেশ যাদব ট্যাব বা ল্যাপটপ দিয়েছেন। কিন্তু বাংলায় প্রান্তিক পরিবারের পড়ুয়াদের পাঠ যাতে অব্যাহত থাকে, তা মাথায় রেখে অতিমারির মধ্যেই রাজ্যের সাড়ে ৯ লক্ষ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে ট্যাব তুলে দিতে চলেছে মমতা ব্যানার্জির সরকার।
এদিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে। বিনা নোটিসে চাকরি চলে যাচ্ছে বহু মানুষের। রাজ্য সরকারি কর্মীদের তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তিনি ঘোষণা করেন আগামী জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩% ডিএ দেবে তাঁর সরকার।
Comments are closed.