রবিবার দুপুরে শান্তিনিকেতনে এক বাউল শিল্পীর বাড়িতে খাওয়া দাওয়া সারেন অমিত শাহ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। খাওয়ার পর তাঁদের গান গেয়ে শুনিয়েছেন ঠিকই কিন্তু বাউল বলতে পারেননি মনের কথা। সেই বাসুদেব দাস বাউলের মেয়ের পড়ার ভার নিল তৃণমূল। ২৯ ডিসেম্বর বোলপুরে মমতার পদযাত্রার সামনের সারিতে থাকবেন তিনি।
গত রবিবার বোলপুর চৌরাস্তা থেকে ডাকবাংলো মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের রোড শোয়ের জায়গাতেই ২৯ ডিসেম্বর পাল্টা পদযাত্রা করবেন তৃণমূল নেত্রী। শুধু তাই নয়, রতনপল্লীর বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজনও সারেন অমিত শাহ। তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন বাসুদেব দাস বাউল থাকবেন পদযাত্রার সামনের দিকে, মমতার পাশে। অনুব্রতর কথায়, বাইরে থেকে নয়, আমার জেলার মানুষকে নিয়ে আড়াই লক্ষ লোকের জমায়েত করব।
কিন্তু রাজনৈতিক লড়াইয়ের এখানেই শেষ নয়। অমিত শাহকে আপ্যায়নকারী বাউল শিল্পীর মেয়ের পড়াশোনার ভার নিয়েছে তৃণমূল। অনুব্রত বলেন, যে বাড়িতে খেলেন গৃহকর্তার সঙ্গে দুটো কথা বলবেন না! নাটক হয়ে গেল আর চলে গেলাম?
শিল্পীর মেয়ে ডিএলএড করতে চান। কিন্তু বাউলের পক্ষে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে মেয়েকে পড়ানো অসম্ভব। তৃণমূল ভার নেওয়ায় খুশি শিল্পী। তিনি জানিয়েছেন, কেষ্টদা পাশে আছেন যখন মেয়েটা পড়বে।
বাসুদেব দাস বাউল জানিয়েছেন তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রথমবার দেখার অভিজ্ঞতা। কিন্তু অতিথি বলে কথা! বাউল বলেন, আমি নিজে রেশনের চাল খাই। অমিত শাহের জন্য মিনিকিট এনেছিলাম। আপ্যায়ন গ্রহণ করলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাইনি। ভেবেছিলাম মেয়ের পড়াশুনোর ব্যাপারটা ওনাকে বলব। হল না। শাহ যাওয়ার পর থেকে বিজেপির কেউ যোগাযোগ করেনি বলে দাবি তাঁর।
কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক থেকে অমিত শাহকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল মহাসচিবও। পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, দুদিন বাংলায় এসে ভাত-ডাল খেয়ে সংস্কৃতিকে পাল্টানো যায় না। বাউল শিল্পীর উদাহরণ টেনে তিনি যোগ করেন, মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আমাদের কাছে আসে। জোর করে তাঁদের কাছে যেতে হয় না।
Comments are closed.