সেলিম: বাম ব্রিগেডের মেজাজকে ভয়, নজর ঘোরাতে CBI তামাশা!

বিজেপি চোর দেখে দল ভরো কর্মসূচি চালাচ্ছে, কটাক্ষ সেলিমের

২৮ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে নজর ঘোরাতেই চোর ধরার নামে তৃণমূল-বিজেপি নাটক করছে। অভিষেক ব্যানার্জির বাড়িতে সিবিআই-এর যাওয়া, প্রসঙ্গে কটাক্ষ সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের।

মঙ্গলবার নদিয়ার জনসভা থেকে তৃণমূল এবং বিজেপিকে একত্রে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ। তাঁর দাবি সিবিআইয়ের সদিচ্ছা থাকলে গ্রেফতার করুক। তার বদলে তামাশা চলছে!

সিপিএম নেতার অভিযোগ, ২৮ তারিখ ব্রিগেড আছে বলে নজর ঘোরাতে তামাশা চলছে। সবই পরিকল্পিত। তাঁর কথায়, আঠাশে ফেব্রুয়ারির মেজাজকে ভয় পেয়েছে দিদি-মোদী।
সেলিম বলেন, চার বছর আগে প্রয়াত অরুন জেটলি অর্থমন্ত্রী থাকার সময় তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন। সেলিমের কটাক্ষ, নির্বাচন এলেই ঝাঁপি থেকে সাপ বেরোয় আবার নির্বাচন মিটলেই সব ঘুরে ঢুকে যায়। এ রাজ্যে ভোট এলেই কেন্দ্রীয় সরকার ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করে।

[আরও পড়ুন- কোন ধারায় গ্রেফতার জানিয়ে রাকেশের বাড়িতে নোটিস কলকাতা পুলিশের]

বিজেপিকে সেলিমের কটাক্ষ, বামপন্থীরা যখন স্লোগান তুলছে চোর ধরো, জেলে ভরো, তখন বিজেপি চোর দেখে দল ভরো কর্মসূচি চালাচ্ছে।

সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদের দাবি, তৃণমূল, বিজেপির অপচেষ্টা রুখেই ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্র্রুয়ারি।

পাশাপাশি তিনি বলেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ সরকারে বামেদের সমর্থনের অন্যতম শর্ত ছিল পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না।

সেলিমের অভিযোগ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে কৃষক আন্দোলনকে দমন করছে, একই ভাবে রাজ্য সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে ছাত্র-যুব আন্দোলনের উপর আক্রমণ করছে।
নদীয়ার হরিণঘাটা বিধানসভা নির্বাচন কমিটি, কল্যাণী বিধানসভা নির্বাচন কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার দুটি জনসভারই প্রধান বক্তা ছিলেন মহম্মদ সেলিম। দুটি সভাতেই যথেষ্ট ভিড় হয়েছিল।

Comments are closed.