মমতা লড়ছেন নন্দীগ্রাম থেকেই। শুক্রবার তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় স্পষ্ট করেছেন তিনি। ৯ তারিখ রাতেই নন্দীগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ মার্চ হলদিয়ায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে দাখিল করবেন মনোনয়ন পত্র। নন্দীগ্রামের দেওয়ালে দেওয়ালে ইতিমধ্যেই মমতার নামে লিখন শুরু করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মমতা ব্যানার্জির জন্য তৈরি রাখা হয়েছে বাড়ি। তৃণমূল সুপ্রিমোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ দ্বিতীয় দফায়, অর্থাৎ ১ এপ্রিল। নন্দীগ্রাম থেকে জিতবেনই বলে আশাবাদী তৃণমূল নেত্রী।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালির মাঠে সভা করতে গিয়ে মমতা সেখানে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। প্রশ্ন করেছিলেন, “আমি যদি নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হই কেমন হয়?”
২০১১ সালের তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে ছিল নন্দীগ্রাম। সেই সময় জমি অধিগ্রহণ, কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলা। সে সময় মমতা জমি অধিগ্রহণবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এরপরেই ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৪ বছরের বাম শাসনের ভরাডুবি হয়। নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা ব্যানার্জি। ভবানীপুর কেন্দ্র শোভনদেব চ্যাটার্জির হাতে ছেড়ে এবার নন্দীগ্রামে মমতা।
তৃণমূল সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জির থাকবেন বড়তলায় ফারুক আহমেদের বাড়িতে। প্রাক্তন সেনাকর্মী ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, এই বাড়িটি তিনি তৃণমূলকে ভাড়া দিয়েছেন। এছাড়াও কলকাতার আরও কিছু নেতাদের থাকার জন্য নন্দীগ্রামে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ওই বাড়ীর দেওয়ালেও মুখ্যমন্ত্রীর নামে প্রচার লিখন শুরু হয়েছী।
Comments are closed.