নন্দীগ্রামে দুই তারকার মাঝে নিজের ছাপ ফেলেছেন ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা সিপিএমের তরুণ প্রার্থী মীনাক্ষী মুখার্জি। বাম সমর্থকদের মধ্যে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখার জন্য মীনাক্ষী পরিচিত মুখ হলেও, নন্দীগ্রামে মমতা, শুভেন্দুর বিপরীতে নিজেস্ব ঢঙে লড়াই, রাজ্য রাজনীতিতে হেভিওয়েট রাজনীতিকদের মধ্যে তাঁকে জায়গা করে দিয়েছে।
নন্দীগ্রামের ভোট মিটতেই একুশের নির্বাচনে সহযোদ্ধাদের সমর্থনে ভোট প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন মীনাক্ষী। শনিবার সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম এবং সৃজন ভট্টাচার্যের সমর্থনে রোড শো করেন তিনি।
একুশের নির্বাচনে বামেদের মুখ মহম্মদ সেলিমের সমর্থনে এদিন হুগলির চণ্ডীতলায় পথসভা শেষে হুড খোলা জিপে দাঁড়িয়েই নিজেস্ব মেজাজে বিরোধীদের তুলোধোনা করলেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, বেকারত্বের যন্ত্রনায়, কাজের দাবিতে, দশ বছর অত্যাচারের অবসানে মরিয়া নন্দীগ্রামের মানুষ ১ এপ্রিল ইভিএমে ভোট দিয়েছেন। মমতা ব্যানার্জি এবং শুভেন্দু অধিকারীকে একযোগে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, তৃণমূল বিজেপির হেভিওয়েটরা ১ এপ্রিল সারাদিন মিডিয়াতে ছিলেন, কিন্তু ওখানকার সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন বামপন্থীরাই।
এদিন চণ্ডীতলার পাশাপাশি সিঙ্গুরে সিপিএমের তরুণ প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য-এর সমর্থনে রোড-শো করেন হিন্দি-বাংলায় চোস্ত মীনাক্ষী মুখার্জি। রোড-শো শেষে সিঙ্গুরের রতনপুর আলুর মোড়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শুরুতেই তৃণমূল নেত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জি ২৬ দিন অনশন করেছিলেন। এদিন সেই প্রসঙ্গের পুনরূত্থাপন করে মীনাক্ষীর তোপ, উনি পশ্চিবঙ্গের ছাত্র যুবর ভবিষৎ নষ্ট করার জন্য ২৬ দিন যে জেদটা দেখিয়েছিলেন, সেই জেদের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। সিঙ্গুরের প্রার্থীকে পাশে নিয়ে তাঁর আবেদন, সৃজন মানে সৃষ্টি, সিঙ্গুরে নতুন শিল্প সৃষ্টির দাবিতে সৃজনকে সমর্থন করুন।
Comments are closed.