বাংলার ভোটের গান নতুন কোনও ব্যাপার না। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলায় ভোটের আগে সব দলের পক্ষ থেকেই গান তৈরি হয়ে আসছে। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, সিপিএম থেকে বিজেপি, এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। কিন্তু সমস্যা বিজেপির নয়া গান নিয়ে।
বাবুল-রুদ্রনীল অভিনীত ভিডিওতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে গেল তৃণমূল। অভিযোগ, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মেরুকরণের লক্ষ্যে অপ্রয়োজনীয় দাঙ্গা দৃশ্য দেখিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী জানিয়েছেন, এই গান মানুষের জন্য, একজন গায়ক হিসেবেই এই গান বানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন- যোগী: ক্ষমতায় এসে Anti Romeo Squad গড়বে BJP, বাংলায় নারী সুরক্ষা বিপন্ন]
গানের ভিডিওতে টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়, ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল সেনের পাশাপাশি রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন অভিনেতা। গানের শুরুতেই শোনা যাচ্ছে, বড় যত্ন করে মিথ্যা বলে বিকৃত করে ইতিহাস, বৃথা স্বপ্ন দেখো বাঙালী আবার পড়বে তোমার সিলেবাস। সেসব হচ্ছে না, হবে না। শিমূলিয়া থেকে গরুর ব্যবসার প্রসঙ্গ টেনে আনা হয় ভিডিওতে। বলা হয় তোমার সিলেবাসে দলিত মেয়ে পূর্ণিমার কথা নেই। ধর্ষণ চেপে রাখো, চেপে রাখো ইতিহাস। এমনকী বিরসা মুণ্ডার কথা বল না তোমরা। কিছু পুরনো খবরের কাগজের ছেঁড়া টুকরো দেখানো হয়েছে গানের ভিডিওতে।
এরপরেই সাংবাদিক বৈঠকে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, এই ভিডিওতে ৪৬ এর দাঙ্গা, বাংলাদেশের পটভূমির কিছু দৃশ্য এবং অতীতের কিছু টুকরো খবরের কাগজের অংশ নিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি। ভিডিওটি কমিশনের কাছে পাঠানো হবে। সুখেন্দুশেখরের প্রশ্ন, পশ্চিম বাংলার ভোটের গানে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ফুটেজ কেন?
যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, ভোটের আবহে গান তৈরি নতুন কিছু নয়। সাধারণ মানুষের কথা বলা হয়েছে গানের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, সিটিজেনস ইউনাইটেড ফেসবুক পেজের পক্ষ থেকে অনির্বাণ ভট্টাচার্যর লেখা নিজেদের মতে, নিজেদের গানের ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল। সেই গানের ভিডিওতে বলা হয়েছিল, আমি অন্য কোথাও যাব না, আমি এই দেশেতেই থাকব। পরমব্রত চ্যাটার্জি, সব্যসাচী চক্রবর্তী, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখার্জি, শান্তিলাল মুখার্জি, সুরঙ্গনা ব্যানার্জি, কৌশিক সেন, পিয়া সেনগুপ্ত, চন্দন সেন ছিলেন এই ভিডিওতে। এবার এর পালটা ভিডিও প্রকাশ করল বিজেপি। যে ভিডিওয় বাংলাদেশের দাঙ্গার ছবি ব্যবহারের কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Comments are closed.