রাজ্যপাল দিল্লির শাহেনশাদের পদলেহন করছেন। দিল্লির নেতাদের এজেন্টের মত আচরণ করছেন। শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আসাম সফর নিয়ে তাঁকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। রাজ্যপালের অপসারণ চাইল তৃণমূল।
রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করছে হাইকোর্ট। তা সত্ত্বেও উনি শীতলকুচির মত জায়গায় গিয়ে হিংসা খুঁজছেন।
সিনিয়ার সাংসদের অভিযোগ, রাজ্যপাল শীতলকুচি গেলেন অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে যে চার জনের মৃত্যু হল তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন না! তৃণমূল সাংসদের আরও অভিযোগ, কোচবিহারে বিজেপির গুন্ডাদের হাতে দুই তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন, উনি তাঁদেরও বাড়ি গেলেন না!
সুখেন্দুশেখরের কটাক্ষ, বিজেপির একজন কুখ্যাত সাংসদকে নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কোচবিহার সফরে রাজ্যপালের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। শুক্রবারও রাস্তায় রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো হয়।
এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তৃণমূল নেতার তোপ, উনি রাস্তায় নেমে একজন ওসিকে ধমকাচ্ছেন। গত ৭০ বছরে এরকম কেউ দেখেনি! রাজ্যপালের পদের যোগ্য নন উনি।
শুক্রবার ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে রাজ্যপাল অসমে যান। বিজেপির দাবি, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে তাদের বহু কর্মী সমর্থক বাংলা ছেড়ে পাশের রাজ্য অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। রাজ্যপাল অসমের শ্রীরামপুরে সেই সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, আমি যা আশা করেছিলাম বাংলার পরিস্থিতি তার থেকেও ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের উচিত সংঘাতের পথে না হেঁটে সদর্থক ভূমিকা নিয়ে পদক্ষেপ করা। বাংলার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, মন্তব্য ধনখড়ের।
রাজ্যপালের কোচবিহার-অসম সফর শেষ। শনিবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে বিএসএফের হেলিকপ্টারে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন জগদীপ ধনখড়।
Comments are closed.