মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিসের সামনে ধরনায় বসেছিলেন এটা কি আপনি অস্বীকার করতে পারেন? প্রশ্ন বিচারপতির। এটাই প্রতিবাদের গণতান্ত্রিক উপায়। আপনি যেটাকে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা বলছেন, সেটা গান্ধীবাদী উপায়ে প্রতিবাদ। এতে হিংসার আশ্রয় নিতে হয় না। জবাব নারদায় ধৃত ৪ হেভিওয়েটের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংহভির।
আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা শুনানি আজ শেষ হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টোয় ফের শুরু হবে শুনানি। এদিন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে প্রশ্ন করেন, মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিসের সামনে ধরনায় বসেছিলেন এটা কি আপনি অস্বীকার করতে পারেন? সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। বলেন, এটাই তো গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের উপায়! ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে মনু সিঙ্ঘভি বলেন, আপনি যেটাকে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা বলছেন, সেটা গান্ধীবাদী পথে প্রতিবাদ।
তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, পাথর বৃষ্টিকেও গান্ধীবাদী বলবেন? মনু সিঙ্ঘভি জানান, একেবারেই না। আমি আপনাকে ভিডিও দেখাচ্ছি যেখানে মন্ত্রী নিজে গাড়ি থেকে নেমে সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলছেন, গাড়ি বেরনোর পথ করে দিচ্ছেন। এগুলো সিবিআই আপনাকে জানায়নি। ঠিক এই কারণেই বলেছিলাম নোটিস পাওয়াটা জরুরি।
তবে শুধু নিরস সওয়াল-জবাব নয়। এদিনের হাইভোল্টেজ শুনানিতে টুকটাক রসিকতাও চলেছে সব পক্ষের মধ্যেই।
এদিন ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন একবার অফলাইন হয়ে যান বিচারপতি ব্যানার্জি। কিছুক্ষণ পর শুধু তাঁর গলার আওয়াজ শোনা যেতে থাকে। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, মাননীয় বিচারপতি ব্যানার্জিকে শুনতে পাচ্ছি কিন্তু দেখতে পাচ্ছি না। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা বলে ওঠেন, রামায়ণের মেঘনাদের কথা মনে পড়ে গেল যে! সবাই হেসে ওঠেন।
একইভাবে এরকম একটি অফলাইন ব্রেকে নিজেদের মধ্যে হালকা আলোচনা করছিলেন অভিযুক্তদের আইনজীবী মনু সিঙ্ঘভি এবং বিচারপতি অরিজিত ব্যানার্জি। বিচারপতি অরিজিত ব্যানার্জি মনু সিঙ্ঘভিকে প্রশ্ন করেন, আপনি বললেন প্রোফেসর ওয়েডের ছাত্র ছিলেন। অক্সফোর্ডে না কেম্ব্রিজে? মনু সিঙ্ঘভি উত্তর দেন অক্সফোর্ড। তারপর বিচারপতি ব্যানার্জি বলেন, উনি কেম্ব্রিজের ছাত্র ছিলেন। দু’জনেই যখন এই আলোচনায় মগ্ন তখন তুষার মেহেতা বলেন, হ্যাঁ ঠিকই তো। মনু সিঙ্ঘভির পর আর কোনও ভারতীয় ছাত্রকে প্রোফেসর ওয়েড নেননি। সবাই আবার হাসিতে ফেটে পড়েন।
Comments are closed.