দুপুরে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত, সন্ধ্যেয় প্রত্যাহার। বুধবার দিনভর তাঁকে নিয়ে জল্পনার পর নিজেই তাতে জল ঢাললেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বুধবার ফেসবুক লাইভে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও ‘অর্ধেক বোঝেন’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সন্ধ্যে নামতেই কার্যত ইউ টার্ন নিলেন। আবার আসে ফেসবুক পোস্ট। জানান, দলের কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষ, অমিত শাহ এবং তেজস্বী সূর্যের আশ্বাসে যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন।
যদিও শুভেন্দুর উপর একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেও প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যত নিরুত্তাপ ছিলেন। সৌমিত্রকে নিজের ছোট ভাই সম্বোধন করে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, তিনি এই ফেসবুক লাইভ ‘সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না’। মন্ত্রী হতে না পেরে গোসা হয়েছে বলে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি সূত্রে খবর, মোদী সরকারের পরিবর্তিত মন্ত্রীসভার ঠাঁই না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন সৌমিত্র। বুধবার সকালে দিল্লির এক কেন্দ্রীয় নেতাকে বারে বারে ফোন করে জানতে চান তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে কিনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি সৌমিত্র খাঁ। সেই ক্ষোভই তিনি উগরে দেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Comments are closed.