জল্পনা ছিলোই, এবার নিজেই জানালেন দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কবে যাবেন সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ভোটের পর তিনি প্রতিবারই দিল্লি যান বলে জানিয়েছেন মূখ্যমন্ত্রী। এবারেও তেমন যাবেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেলে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে জানালেন।
বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানেই তিনি বলেন, বাংলায় ভোটের পরেই তাঁর দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে তিনি যেতে পারেননি। লোকসভা অধিবেশন চলাকালীন তিনি দিল্লি রওনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ছাড়াও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানান।
রাজনৈতিক মহলের মতে ইতিমধ্যেই ২০২৪ এর মহারণ নিয়ে সব দলেরই রণকৌশল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিকে। এই আবহে তৃণমূল সুপ্রিমোর দিল্লি যাত্রার দিকে নজর থাকবে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলের।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে ইয়াস ক্ষতিগ্রস্ত দীঘার ব্যবসায়ীদের হাতে মোবাইল ভেন্ডিং কার তুলে দেন। ৫২ জন ব্যবসায়ীকে এই ভ্রাম্যমাণ দোকান দেয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলির মেরামতের কাজও রাজ্য সরকার করেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্র পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন দিচ্ছে না বলে এদিন ফের অভিযোগ করেন মমতা। ভ্যাকসিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পুনরায় চিঠি লিখেছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বারাণসীর একটি জনসভা থেকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় যোগী সরকার সম্পূর্ন সফল। পাশাপাশি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়েও তাঁর গলায় ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায়।
মোদীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাঁকে মহান মিথ্যেবাদী বলে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, কোভিডে মৃত কত লাশ ওরা গঙ্গায় ভাসিয়েছে, প্রকৃত কতজন প্রাণ হারিয়েছে, তা ওরাই বলতে পারবে। এদিন উন্নাও, হাথরাস, সাংবাদিক মৃত্যু নিয়েও উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার তীব্র সমালোচনা করেন মমতা। তাঁর কথায়, উত্তরপ্রদেশে এত কিছু ঘটলেও ওখানে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও এজেন্সি পাঠায়নি। হার হজম করতে না পেরে বাংলার বিরুদ্ধেই শুধু যত চক্রান্ত।
Comments are closed.