ঠিক যেন কার্তিক ঠাকুর! মিঠাইয়ের দুষ্টুমিতে অবশেষে সিদ্ধার্থকে ধুতি-পাঞ্জাবি পড়তে হল, চক্ষু ছানাবড়া মোদক পরিবারের, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও
দর্শকের ভালোবাসায় বর্তমানে জি বাংলার মিঠাই ধারাবাহিক এখন ঘরে ঘরে জনপ্রিয়। মিঠাই সিদ্ধার্থের জুটি এখন সুপারহিট। TRP তালিকাতেও এই ধারাবাহিক সবার প্রথম স্থান ধরে রেখেছে গত কয়েকমাস ধরে। এই ধারাবাহিকের রোজ রোজ নিত্যনতুন টুইস্ট এবং মিঠাইয়ের দুষ্টু মিষ্টি স্বভাবের কারণে দর্শকের মনে এটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মিঠাই ধারাবাহিকের পরে আরো অনেক ধারাবাহিক এসেছে টেলিভিশনের পর্দায় কিন্তু মিঠাইয়ের জায়গা কেউ নিতে পারেনি।
মিঠাই ধারাবাহিকে সম্প্রতি দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ পর্ব দেখানো হচ্ছে। এই প্রথম মনোহরা তে দুর্গাপুজো হচ্ছে, যা নিয়ে বাড়ির সকলে উৎসাহিত থাকলেও উচ্ছে বাবু অর্থাৎ সিদ্ধার্থ একেবারেই এইসবের উৎসাহী নয়। এই সমস্ত ঝুট ঝামেলা থেকে বেরোতে সে ঠিক করে পাহাড়ে ঘুরতে চলে যাবার কথা। কিন্তু তার আগেই মিঠাই জ্বর বাঁধিয়ে বসে যার জন্য সিদ্ধার্থের আর পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া হয়না। আর সিদ্ধার্থের এই সিদ্ধান্তে বাড়ির প্রত্যেকের প্রচন্ড খুশি হয়। আসলে এই দিনটি দেখার জন্যই তো বাড়ির প্রত্যেক সদস্য দিনরাত এক করে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করেছে।
বাড়িতে প্রথমবার পুজো উপলক্ষে অষ্টমী দিন বাড়ির সকল ছেলেরা সিদ্ধান্ত নেয় ঐদিন ধুতি-পাঞ্জাবি পড়বে। কিন্তু সিদ্ধার্থ এইসব ধুতি পাঞ্জাবি পোশাকে একেবারেই উৎসাহী নয়। এই সমস্ত পোশাক থেকে সে ১০ হাত দূরে থাকে, কিন্তু মিঠাই ছাড়ার পাত্রী নয়।
সিদ্ধার্থকে শেষ পর্যন্ত নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে শেষমেষ ধুতি-পাঞ্জাবি পরিয়েই ছাড়লো সে। আর সিদ্ধার্থের এই নতুন লুক দেখে বাড়ির প্রত্যেক সদস্য তো একেবারে অবাক। সিদ্ধার্থকে প্রথমবার ধুতি-পাঞ্জাবি সাজে দেখে প্রত্যেকেই দারুণ খুশি হয়েছে। আসলেই সিদ্ধাথকে দারুন লাগছিল পাঞ্জাবি এবং ধুতিতে।
Comments are closed.