২০১৯ লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সাধারণ মানুষের লড়াই, মোদীকে আক্রমণ করে লিখলেন ইয়েচুরি
বছরের প্রথম দিন এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপি বিরোধী জোটকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দেশের মানুষের সঙ্গে বিরোধী মহাজোটের লড়াই হবে। মোদীর এই খোঁচার উত্তর দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। ইয়েচুরির মতে, আগামী লোকসভা নির্বাচন আসলে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে দেশের মানুষের লড়াই। দেশের মানুষ নেতা নন, নীতি চান।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করে সীতারাম ইয়েচুরির লেখা একটি প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে সিপিএম। এই প্রতিবেদনটি সিপিএমের মুখপত্র ‘পিপলস ডেমোক্রেসি’র আগামী ৬ ই জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হওয়ার কথা। এই প্রতিবেদনে ইয়েচুরি লিখেছেন, ২০১৪ সালে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদী ক্ষমতায় এসেছিলেন তার একটিও পূরণ হয়নি। তিনি শুধু মিথ্যে প্রচার করে চলেছেন। দেওয়াল লিখন তিনি পড়তে পারছেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে দেশের মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। যে কোনওভাবে মানুষ চাইছেন এই সরকারকে সরাতে। এরপরই তিনি লেখেন, দেশের মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের লড়াই হবে আসন্ন নির্বাচনে। শেকসপিয়রকে উদ্ধৃত করে ইয়েচুরি লেখেন, ‘আরবের সমস্ত সুগন্ধীও হাতের রক্তের দাগ মুছতে পারবে না’।
দেশে কৃষক অসন্তোষ নিয়ে ইয়েচুরি লেখেন, খেতে না পেয়ে যখন কৃষক আত্মহত্যা করছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী কৃষি ঋণ মুকুবকে ‘ললিপপ’-এর সঙ্গে তুলনা করে ব্যঙ্গ করেছেন দেশের কৃষককে। মোদী জমানার পাঁচ বছরে কৃষক জীবন ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন ইয়েচুরি।
এর পাশাপাশি, নোটবন্দি, জিএসটি নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক। রাফাল দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। দেশে তীব্র সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন ইয়েচুরি। লিখেছেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়েও ফের ধর্মীয় রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি সরকার। সেই সঙ্গে তিন তালাক থেকে সাবরীমালা, বিভিন্ন ইস্যুতে মোদী সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন ইয়েচুরি।
ইতিমধ্যেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের রাজনৈতিক লাইন ঘোষণা করেছে সিপিএম। সেখানে বিজেপিকে উৎখাত করার পাশাপাশি কেন্দ্রে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বামপন্থীদের শক্তিবৃদ্ধি করার ডাকও দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.