প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে এড়িয়ে রাফাল চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের অভিযোগ রাহুলের, পালটা জবাব নির্মলা সীতারমণের
রাফাল ইস্যুতে ফের উত্তাল সংসদ। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার সংসদের বাইরে এবং ভেতরে রাহুল গান্ধী বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে এড়িয়ে রাফাল চুক্তিতে হস্তক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই ফ্রান্সের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ওলাদেঁ যেভাবে সরাসরি জানিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদী নিজেই অফসেট পার্টনার হিসেবে অনিল আম্বানীর সংস্থার নাম সুপারিশ করেছিলেন, তারও কোনও জবাব দেননি দেশের প্রধানমন্ত্রী।
রাহুলের অভিযোগের প্রসঙ্গে জবাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও পালটা মুখ খুলেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, মিথ্যে কথা বলছে কংগ্রেস। চুক্তিতে কোনও দুর্নীতি তো হয়ইনি, বরং রাফাল যুদ্ধ বিমান দেশের মুকুটে একটি পালক। তাঁর কটাক্ষ, ‘ডিফেন্স ডিলিং’ আর ‘ডিলিং ইন ডিফেন্স’-এর মধ্যে যে পার্থক্য, তা রাহুলরা বোঝেন না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সামরিক শক্তি বাড়ানোর গুরুত্ব বেশি ছিল, কারণ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পরিবর্তনশীল। এঅবস্থায় ভারতের সামরিক শক্তি বাড়ানো অবশ্য কর্তব্য বলে মনে করে বিজেপি সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম এয়ারক্রাফট তৈরি হয়ে যাবে। ২০২২ এর মধ্যে প্রস্তুত হবে সমস্ত এয়ারক্রাফট। নির্মলা সীতারমণ বলেন, নিজেদের নিরাপত্তা ছাড়া কংগ্রেস দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবিত নয়।
রাহুল বারবার প্রশ্ন তুলেছেন, কেন হ্যাল থাকতে অনিল আম্বানীর কোম্পানিকে যুদ্ধ বিমান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়? নির্মলা সীতারামণ পালটা দাবি করেন, যে কোম্পানির জন্য কুম্ভীরাশ্রু ফেলছে কংগ্রেস, তাদের আমলে সেই হ্যালকে বাদ দিয়ে হেলিকপ্টার তৈরির বরাত অন্য কোম্পানিকে কেন দেওয়া হয়েছিল?
প্রধানমন্ত্রীকে করা রাহুলের আক্রমণকে ‘অসংসদীয়’ বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
Comments are closed.