তদন্তকারী সংস্থা চাইলেই যে কোনও ব্যক্তির কম্পিউটারের ওপর চালাতে পারবে নজরদারি, কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পিটিশনের ভিত্তিতে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে ৬ সপ্তাহ সময় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। গত ডিসেম্বর মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করে জানায়, তদন্তের স্বার্থে যে কোনও ব্যক্তির মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে চালানো যাবে নজরদারি। মোট ১০ টি তদন্তকারী সংস্থাকে এবিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশিকা জারির পরেই নানা মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়। বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করে বলেছিলেন, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তারপরই এই মর্মে বেশ কয়েকটি পিটিশন দাখিল হয় সুপ্রিম কোর্টে। তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্রসহ একাধিক ব্যক্তির করা পিটিশনের ভিত্তিতে সোমবার ৬ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া চাইল শীর্ষ আদালত।
কেন্দের এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার আগে শুধুমাত্র ই-মেল ও মোবাইল কল এর মাধ্যমে তথ্যের আদান-প্রদানের ওপর নজরদারি চালানোর ক্ষমতা ছিল তদন্তকারী সংস্থাগুলির। কিন্তু এই নির্দেশিকা জারির পর থেকে শুধু মোবাইল কল বা ই-মেল নয়, কম্পিউটারের যে কোনও তথ্য খতিয়ে দেখার ক্ষমতা দেওয়া হয় দেশের ১০ টি তদন্তকারী সংস্থাকে। ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়, প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত করা যাবে যে কোনও কম্পিউটার বা যন্ত্র। যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা এখন থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তাঁর বা তাদের কম্পিউটারের তথ্য দেখাতে বাধ্য। অন্যথায় জরিমানা অথবা ৭ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।
যে ১০ টি তদন্তকারী সংস্থাকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল আইবি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’, নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ড, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস, ডিরেক্টোরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ), দিল্লি কমিশনার অব পুলিশ এবং ডিরেক্টোরেট অব সিগনাল ইন্টেলিজেন্স।
Comments are closed.