কর্ণাটকে কি সরকার বাঁচাতে পারবে কংগ্রেস-জেডিএস জোট? ২ নির্দল বিধায়কের সমর্থন প্রত্যাহারের পর চাপে কুমারস্বামী
কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট সরকার থেকে দুই নির্দল বিধায়ক সমর্থন তুলে নেওয়ার প্রেক্ষিতে বিধায়কদের নিয়ে আলোচনার ডাক দিল কংগ্রেস। আগামী ১৮ ই জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে মিটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কুমারস্বামী সরকারের বিরুদ্ধে নীতি পঙ্গুতার অভিযোগ এনে কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেন আর শঙ্কর ও এইচ নাগেশ নামে দুই নির্দল বিধায়ক। দুই বিধায়কের সরে যাওয়ার ফলে কর্ণাটকে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট সরকার। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার জানান, যে ৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক মুম্বইয়ে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছেন।
কিছুদিন আগেই শিবকুমার অভিযোগ করেছিলেন, ৫ বিধায়কের সঙ্গে গোপন বৈঠক করছে বিজেপি। ২০১৪ সালের মতো আবার ‘অপারেশন কমলা’র মাধ্যমে অন্য দলের নেতাদের ভাঙিয়ে গেরুয়া ছাতার নীচে আনার চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেন ডি কে শিবকুমার। সেই সঙ্গে ঘোড়া কেনাবেচারও অভিযোগ আনেন তিনি।
যে কয়েকজন বিধায়ক উধাও হয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস, তার মধ্যে ভীমা নায়েক নামে এক বিধায়ক বেঙ্গালুরুতে ফিরেছেন বুধবার। তবে তাঁর বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে মুম্বইয়ে মিটিং করার বিষয়টি কার্যত অস্বীকার করে ভীমা নায়েক জানান, তিনি ছুটি কাটাতে গোয়া গিয়েছিলেন। মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে নাকি তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
বুধবার কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বিজেপির উদ্দেশে কটাক্ষ করেন, তাদের সব চেষ্টা বিফল হবে। কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে মুম্বইয়ে এক হোটেলে গোপন বৈঠক করছেন খবর ছড়ায় রবিবার। তবে উপমুখ্যমন্ত্রী এপ্রসঙ্গে জানান, ওই বিধায়করা ছুটি থেকে ফিরলেই কথা বলবে দল। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী অবশ্য বলছেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
প্রসঙ্গত, ২২৪ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট সরকারের হাতে এখন রয়েছে ১১৮ জন বিধায়ক। অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে একটুর জন্য ম্যাজিক সংখ্যা ছুঁতে না পারা বিজেপির হাতে বর্তমানে বিধায়ক সংখ্যা ১০৬, যার মধ্যে ২ জন নির্দল বিধায়ক।
Comments are closed.