‘হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেছিলাম’! মুদি দোকানের জিনিসপত্র কেনারও সামর্থ্য ছিলোনা এক সময়, মুদির দোকানে অপমানিত হয়েছিল গোবিন্দা, দেখা দিয়েছিলো চরম অর্থাভাব, মুদি দোকানের জিনিসপত্র কেনারও সামর্থ্য নেই
চলতি বছরেই ২১শে নভেম্বর ৫৮ বছরে পা রাখলেন বলিউডের নাচের বাদশা গোবিন্দা। ৯০ দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা যিনি নিজের নাচ এবং অভিনয়ের মাধ্যমে মাতিয়ে রেখেছিলেন গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। একের পর এক হিট সিনেমা নিজের ঝুলিতে জমা করেছেন, তবে অভিনয়ে আসার আগে দারুন অর্থাভাবের সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেতা কে। গোবিন্দর বাবা অরুণ আহুজা ছিলেন একজন প্রযোজক। গোবিন্দার জন্মের আগেই তার প্রযোজিত একের পর এক সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়েছিল।
বলিউডে আসার পরে এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দা জানিয়েছিলেন যে একসময় তাদের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেছিল যে সংসারে চালডাল মশলাপাতি আনার সামর্থ ছিলনা তাদের, মুদিখানা গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো তাকে কারণ দোকানদার জানতেন যে তাদের কাছে পয়সা নেই তাই তাকে জিনিসপত্র ধারেই দিতে হবে। লজ্জায় অপমানে শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিয়েছিল সে, কিন্তু মায়ের চোখের জল দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি।
এরপর ১৯৮৬ সালে ‘লাভ ৮৬’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রথম পা রাখেন গোবিন্দা। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে একের পর এক সুপারহিট সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে রাজাবাবু, কুলি নাম্বার ওয়ান, হিরো নাম্বার ওয়ান, বাড়ে মিয়া ছোটে মিয়া মতো একের পর এক সুপার ডুপার হিট সিনেমাতে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করে নেন তিনি।
বলিউডে অভিনীত তার শেষ ছবি ছিল রঙ্গীলা রাজা। গত কয়েক বছর ধরে বলিউডের বড় পর্দায় তাকে দেখা না গেলেও মিউজিক ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেতা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে তিনি।
Comments are closed.