কলকাতার ১৬ টি বোরোর মধ্যে ১০ টি বোরোতেই চেয়ারম্যান হলেন মহিলারাই। মহারাষ্ট্র নিবাস থেকে বৃহস্পতিবার মমতা ব্যানার্জি জানান, ১৬ টি বোরোর মধ্যে ১০ টি বোরোতেই চেয়ারম্যান হয়েছেন মহিলারা। এটা মহিলাদের এমপাওয়ারমেন্টের একটা প্রকাশ। খুব ভাল করে কাজ করুন। ২ নম্বর বোরো সামলাবেন শুক্লা ভোঁড়, ৪ নম্বর বোরোয় সাধনা বোস, ৫ নম্বর বোরো রেহানা খাতুন, ৬ বোরো সানা আহমেদ, ৭ বরো সুস্মিতা ভট্টাচার্য, ৮ বরো চৈতালী চ্যাটার্জি, ৯ বরো দেবলীনা বিশ্বাস, ১০ বোরো জুঁই বিশ্বাস, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রত্না শূর ও ১৪ বোরো চেয়াম্যান সংহিতা দাস।
গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতার তুরুপের তাস ছিলেন মহিলারা। তিনি প্রতিটি জনসভায় গিয়ে বলেছিলেন, মহিলারা সজাগ হোন। বহিরাগতদের বিতারিত করতে পারেন আপনারাই। হাতে ঝাঁটা, খুন্তি যা পারবেন তাই দিয়ে বিতারিত করুন বহিরাগতদের গুন্ডাদের। আর ভোটে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইত্যাদি প্রকল্প এক্সট্রা মাইলেজ দিয়েছিল মমতা ব্যানার্জিকে। মহিলা মহলে তিনি খুব সহজেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলা নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিপক্ষকে বিপাকে ফেলে তিনি মহিলাদের মন জয় করেছিলেন খুব সহজে। আর ভোটের আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের। সেইমত ভোট মিটলেই চালু হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। বাংলার ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা প্রতি মাসে পাচ্ছেন ৫০০ টাকা। আর তপশীলি, উপতপশীলি জাতির মহিলারা পাচ্ছেন ১০০০ টাকা।
এদিন ফের মেয়র হয়েছেন ফিরহাদ হামিক, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। মেয়র ইন কাউন্সিল হয়েছেন অতীন ঘোষ সহ ১৩ জন। তাঁরা হলেন, দেবাশীষ কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিংহ, স্বপন সমাদ্দার, বাবু বক্সী, বৈশানর চ্যাটার্জি, সন্দীপন সাহা প্রমুখ।
Comments are closed.