সাবরীমালা মন্দিরের উন্নয়নে ৭৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেরলের সিপিএম সরকার, বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেটে ঘোষণা
সাবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী মহিলার প্রবেশ ঘিরে গত অক্টোবর থেকে উত্তপ্ত কেরল। একদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলবৎ করে মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের জন্য পিনারাই বিজয়ন সরকারের দৃঢ় মনোভাব, অন্যদিকে মন্দিরের ঐতিহ্য ও ধর্মীয় ভাবাবেগ রক্ষায় বিজেপি, আরএসএসসহ দক্ষিণপন্থী দলগুলির আন্দোলনে প্রায় যুদ্ধের ময়দানে পরিণত করে সাবরীমালা মন্দির প্রাঙ্গণকে। এই অশান্তির জেরে প্রাচীন এই মন্দিরে কমতে থাকে দর্শনার্থীর সংখ্যা।
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে, সাবরীমালা মন্দিরের উন্নতি প্রকল্পে ৭৩৯ কোটি টাকা ধার্য করল কেরলের সিপিএম সরকার। বৃহস্পতিবার কেরলের ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাক। তিনি বলেন, সাবরীমালা মন্দিরের উন্নতিতে সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে। তিরুপতি মডেল ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এনে সাবরীমালা মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন ও সংরক্ষণে বিশেষ নজরে দেবে রাজ্য সরকার। তার জন্য মন্দির এবং আশপাশের এলাকার সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ করেছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সাবরীমালা মন্দিরের আয় কমে যাওয়া যাতে অন্য মন্দিরগুলির ওপর প্রভাব ফেলতে না পারে তার জন্য বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে মন্দিরের বোর্ডগুলিকে। সাবরীমালার মূল মন্দিরে যাবার আগে পাম্পা ও নীলাক্কলে দর্শনার্থীরা বিশ্রাম নেন। ওই দুটি জায়গার উন্নতি প্রকল্পে ১৪৭.৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সাবরীমালা মন্দিরের পরিচালনাকারী ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ডকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে সাবরীমালা মন্দিরের আয় হয়েছিল ২৪৩.৬৯ কোটি টাকা। কিন্তু গত বছরের ২৮ শে সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর সাবরীমালা ইস্যুতে ঘটে চলা একের পর এক অশান্তির ঘটনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে থাকে আয়। তাই মন্দির কমিটিকে এই অর্থ সাহায্য বলে জানান কেরলের অর্থমন্ত্রী।
এদিন বাজেট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন কেরলের অর্থমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কেরলের ভয়াবহ বন্যার পর কেন্দ্রের সাহায্য ছিল অতি সামান্য। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ঋণ মুকুবের আবেদন করেন তাঁরা, তাও বিজেপি সরকার খারিজ করে দেয়।
Comments are closed.