ইউক্রেন আর পাঞ্জাবের মধ্যে মিল কোথায়? তুলনাটা এক্কেবারে অপ্রাসঙ্গিক হলেও একটা মিল রয়েছে এই দুটি জনপদের মধ্যে। ইউক্রেনের ভ্লাদিমির জেলেনস্কি দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পেশায় কৌতুক শিল্পী ছিলেন। পাঞ্জাবের হবু মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও তাই। কৌতুক অভিনেতা থেকে রাজনীতির দুনিয়ায়। এবং সব ঠিক থাকলে তিনিই হচ্ছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গরুর লোকসভার আপ সাংসদ ভগবন্ত বাইসের বিধানসভা ভোটে ধুরি বিধানসভা থেকে জয়ী হয়েছেন।
বাইশের ভোটে ভগবন্ত মানকে মুখ করেই পাঞ্জাব জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। এবং প্রায় সব বুধ ফেরত সমীক্ষা সত্যি করে কেজরিওয়ালের মুখে হাঁসি ফুটিয়েছেন কৌতুক শিল্পী ভগবন্ত। যদিও রাজনীতিতে রাতারাতি সাফল্য পাননি ভগবন্ত। হুবু মুখ্যমন্ত্রীকে আজকের এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ১ দশকেরও বেশি সময়।
২০১১ সালে রাজনীতির মঞ্চে পা রাখেন ভগবন্ত মান। ‘পিপলস পার্টি অব পাঞ্জাব’-র হয়ে ভোটে লড়লেও পরাজিত হন তিনি। এর পর ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে ‘আপ’র হাত ধরেন। সেবারে পাঞ্জাবে ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। যার মধ্যে জয়ী ৪ জন সাংসদের মধ্যে একজন ছিলেন ভগবন্ত। এরপর ২০১৯ সালেও সঙ্গরুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হিসেবে জয়ী হন তিনি। কিন্তু পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কীভাবে?
এর উত্তরও দিয়েছেন আপ প্রধান। কেজরিওয়াল জানান, মুখ্যমন্ত্রী মুখের জন্য আপ পাঞ্জাবের আম আদমির উপরেই ভরসা রেখেছিলেন। ম্যাসেজ, whats app এর ভোটিং এর মাধ্যমে আপ-এর তরফে একটি সার্ভে চালানো হয় পাঞ্জাবে। তাতেই প্রায় ৯৩% সমর্থন পান ভগবন্ত। এবং কেজরিওয়ালের দল কৌতুক অভিনেতাকে মুখ করে নেমে পড়েন পঞ্চ নিদের তীরে ভোট যুদ্ধে।
ব্যাপক জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কও এসেছে ভগবন্তের কেরিয়ারে। ২০১৬ সালে মদ্যপ অবস্থায় সংসদে প্রবেশ করেছিলেন বলে তাঁর নামে অভিযোগ ওঠে। পরে আপ প্রধানকে পাশে নিয়ে প্রকাশ্যে মদ্যপান ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন ভগবন্ত। যদিও ২০২২ এর নির্বাচনেও বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে একই হাতিয়ারে সান দিয়ে প্রচার চালান। কিন্তু ব্যালট বাক্স খুললে দেখা গেল শেষ হাসি হাসলেন একসময়ের কৌতুক অভিনেতা ভগবন্ত মান।
Comments are closed.