গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের নেতৃত্বদানের ক্ষমতা ও দূরদৃষ্টি নিয়ে কি সংশয় বাড়ছে সংস্থার কর্মীর মধ্যে? সংস্থার কর্মীদের কি আস্থা কমছে সুন্দর পিচাই সম্পর্কে? গুগল সংস্থার অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এলো।
সুন্দর পিচাইয়ের নেতৃত্বদান ও সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কর্মচারীদের কতটা উজ্জীবিত করতে পারেন, এই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা করা হয় গুগলে। ‘গুগলজিস্ট’ নামে এই সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, ৭৮ শতাংশ কর্মী সুন্দর পিচাইয়ের নেতৃত্বদানে খুশি। বাকি ২২ শতাংশ কর্মচারী তাঁর নেতৃত্ব সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। গত বছর গুগল সিইও’র পক্ষে ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল। অর্থাৎ, গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি কর্মী সিইও’র নেতৃত্ব সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
আর একটি সার্ভে, যেখানে সুন্দর পিচাই ও তাঁর ম্যানেজমেন্ট টিম, সংস্থাকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাবেন কীনা কর্মীদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেখানে, ৭৪ শতাংশ কর্মী সদর্থক জবাব দিয়েছেন, বাকি ২৬ শতাংশ কর্মীর উত্তর নেতিবাচক। এই সার্ভেতেও গত বছরের চেয়ে নেতিবাচক ভোট ১০ শতাংশ বেড়েছে।
একইভাবে, পিচাই-এর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও পরিকল্পনা গ্রহণ সম্পর্কেও গত বছরের চেয়ে বিপক্ষ ভোটের সংখ্যা বেড়েছে বলে ‘ব্লুমবার্গ’ সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। গুগলের তরফে এই সার্ভের ফলাফল সব কর্মীকেই জানানো হয়।
‘গুগলজিস্ট’ সার্ভের সিংহভাগ ভোটই গুগল সংস্থা এবং সিইও-এর পক্ষে হলেও, গত বছরের চেয়ে নেতিবাচক ভোটবৃদ্ধি সংস্থার চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গুগলের গর্ব, তাদের কর্মসংস্কৃতি, উচ্চ বেতন, কর্মীদের জন্য উন্নত পরিষেবা, অফিসে অত্যাধুনিক বন্দোবস্তের সুবিধা। কিন্তু গত এক বছরে সিইও সম্পর্কে প্রায় ১০ শতাংশ নেতিবাচক ভোট বেড়ে যাওয়ায় নতুন প্রতিভারা সংস্থায় যোগ দিতে দু’বার ভাবতে পারেন।
Comments are closed.