সবাই বলত তোর কিছু হবে না! মাধ্যমিকে পেয়েছিলেন অঙ্কে ৩৬, ইংরেজিতে ৩৫, সেই খারাপ ছাত্র তুষার আজ IAS অফিসার, ঘটনাটি অনুপ্রেণীত করতে পারে বহু মানুষ কে
কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় মানুষ যদি নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকে এবং জীবনে কিছু করার ইচ্ছে থাকে তাহলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো দেখে তাকে কেউ আটকাতে পারে না। বিভিন্ন রাজ্যের বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে দু’বছর পড়াশোনা বন্ধ থাকায় অনেক ছাত্রছাত্রী ভালো ফলাফল করতে পারেনি। যার ফলে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। কিন্তু আজকে আপনাদের এমন এক আইএএস অফিসারের গল্প শোনাবো যিনি মাধ্যমিকে কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও আপনার কাছে একটি অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে।
এই গল্পটি গুজরাটের ভারুচ জেলার কালেক্টর তুষার সুমেরার। একটি পরীক্ষার খারাপ ফলাফলের অর্থ এই নয় যে জীবনের সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ২০১২ ব্যাচের আইএএস অফিসার তুষার ডি সুমেরা দশম শ্রেণীতে শুধুমাত্র পাসিং নম্বর পেয়েছিলেন। এই পরীক্ষায় তুষার গণিতে ৩৬, ইংরেজিতে ৩৫ ও বিজ্ঞানে ৩৮ নম্বর পেয়েছে। তুষারকে তার স্কুলের পাশাপাশি তার গ্রামে বলা হয়েছিল যে সে জীবনে কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু সেই টু শাড়ি আজকে একজন সফল আইএএস অফিসার। আইএএস অবনীশ শরণ তুষারের গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
অবনীশ শরণ তুষারের দশম শ্রেণীর মার্কশিট টুইটারে আপলোড করেছেন এবং সমস্ত কাহিনীটা টুইটারে তুলে ধরেছেন। এক সময় অনেকেই তুষার কে বলেছিল তিনি জীবনে কিছুই করতে পারবেন না আজ তাদের গালে সপাটে একটা চড় মেরে তুষারে যোগ্য জবাব দিয়েছেন এবং বর্তমানে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে তুষার অনুপ্রেরণাও বটে।বর্তমানে সকলেই এই টুইট দেখে তুষার কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে। আর তুষার নিজেও অবনিশ কে এরজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য তুষার পড়াশোনা শেষ করার পর শিক্ষকের চাকরি পান। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল IAS অফিসার হওয়ার। এরপরই তুষার UPSC-র প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন, আর UPSC-তে সফলতা হাসিল করেন। আর আজ তিনি সবার কাছে অনুপ্রেরণা।
Comments are closed.