তৃণমূল প্রার্থী তালিকায় এবার অন্তত ১০ নতুন মুখ, ৮ ই মার্চ লোকসভার প্রচারে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
৮ ই মার্চ, শুক্রবার রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচারে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার পদযাত্রা করছে তৃণমূল নেত্রী। শ্রদ্ধানন্দ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এই পদযাত্রা দিয়েই এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নামছেন তৃণমূল নেত্রী। সূত্রের খবর, ১০ বা ১১ ই মার্চ লোকসভা ভোট ঘোষণা হওয়ার কথা। লোকসভা ভোট ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেবেন তৃণমূল নেত্রী।
এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় খুব বড় রদবদল হবে না বলে সম্প্রতি দলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি জেতা কোনও আসনের প্রার্থী বদল করা হয়, দলে আলোচনা করেই তা ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, এখন সেই তালিকাই চূড়ান্ত করার শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই থেকে ভোটের প্রচারের জন্য ১২ জনের কমিটি তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রই যে তাঁদের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা, তা আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এই লক্ষ্যে এক ডজন সদস্যকে নিয়ে নির্বাচনী কমিটি গড়ে দিলেন তিনি। এই কমিটির সদস্যরা হলেন, সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শুভেন্দু অধিকারী, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শশী পাঁজা ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁরা প্রার্থী বাছাই করার পর, বরাবরের মতোই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে।
এবার প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচার প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে ফেলছেন তৃণমূল নেত্রী। বিদায়ী লোকসভায় দলের যে ৩৪ জন সাংসদ ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই এবার ফের টিকিট পাবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা নিজেই। তবে বর্তমান সাংসদদের মধ্যে বোলপুর ও বিষ্ণুপুরের দুই সাংসদের সঙ্গে দলবিরোধী কাজের জন্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ঘাসফুল শিবির। এছাড়া দু’একজন সেলিব্রিটি সাংসদও এবারের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছেন বলে খবর। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রার্থী বাছাইয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সচেতন মুখই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। মমতার নির্দেশ, যাঁরা ভালো কাজ করেছেন, তাঁদের টিকিট দেওয়া হবে। আর কয়েকজনকে যে বাদ দেওয়া হবে, তার আভাস তৃণমূল নেত্রী কোর কমিটির বৈঠকেই দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, কোনও এলাকায় সাংসদরা কেমন কাজ করেছেন এবং কোনও এলাকার মানুষ কাকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন তা জানতে ইতিমধ্যেই সমীক্ষা করিয়েছে তৃণমূল শিবির। তার ওপর ভিত্তি করতেই প্রার্থী বাছাই চলছে।
Comments are closed.