লক্ষ্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প! তৈরি হোক ‘বাংলার শাড়ি’; নদিয়ার প্রশাসনিক সভা থেকে পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
এক সময়ে অবিভক্ত বাংলার শাড়ি সারা বিশ্বে বিখ্যাত ছিল। এখনও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হরেক রকমের শাড়ি পাওয়া যায়। সেই সমস্ত শাড়িকে এক ছাতার তলায় এনে একটি ব্র্যান্ড তৈরির পরিকল্পনার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নদিয়ার প্রশাসনিক সভা থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে সমস্ত শাড়ি তৈরি হয়ে সেগুলোকে একত্রে এনে বিপনী তৈরির কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর কথায়, ধনেখালি, বর্ধমান, শান্তিপুর, মুর্শিদাবাদ বিভিন্ন জায়গায় হরেক রকমের তাঁত ও স্লিক তৈরি হয়। সেগুলোকে এক জায়গায় আনতে হবে। ব্যান্ডের নাম হবে ‘বাংলার শাড়ি।’ তন্তুজ থেকে এটিকে পৃথক রাখারও পরামর্শ দেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শীতকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর মেলা হয়। ওই মেলাগুলোতে ‘বাংলার শাড়ির’ স্টল দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
শান্তিপুরের রাস মেলাকে নিয়েও এদিন বড় ঘোষণা করেন মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, রাসমেলাকে কেন্দ্র করে নদীয়ায় ট্যুইরিজম গড়ে উঠুক। সেই মতো পর্যটন দফতরকেও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমি ট্যুইরিজম বিভাগকে বলব এখানে রাসমেলা কেন্দ্র করে ট্যুইরিজম গড়ে তোলা হোক। আমি কাল নিজে গিয়ে দেখেছি একই মেলায় অনেক রকমের মূর্তি। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত এখানকার রাসমেলা।’’ উল্লেখ্য, বুধবারও রাসের অনুষ্ঠানে গিয়ে নদীয়া জেলার পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Comments are closed.