কর্মসংস্থান: কেন্দ্রের ভুল তথ্যের পেছনে আসল সত্য কী? প্রতিবেদন সিপিএমের মুখপত্র ‘পিপলস ডেমোক্রেসি’তে
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদীর বহু প্রতিশ্রুতির মধ্যে অন্যতম ছিল বছরে ২ কোটি বেকারের কর্মসংস্থান করা। আর একটি লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় আমরা। মোদীর সেই কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে এক ধাঁধা।
জানুয়ারি মাসে জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের (এনএসএসও) অপ্রকাশিত রিপোর্ট সামনে এনে মোদী সরকারের আমলে কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে বড় প্রশ্ন তুলেছিল ইংরেজি সংবাদপত্র ‘দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালে নোটবন্দির পর সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব বেড়েছে দেশে। যা গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সম্প্রতি এনএসএসও’র আরও একটি অপ্রকাশিত রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত ৫ বছরে ২ কোটি পুরুষের কর্মসংস্থান কমেছে। যদিও কেন্দ্র দাবি করেছে, কোনটিই মূল রিপোর্ট নয়, খসড়া মাত্র।
গত ২৪ শে মার্চ ‘Employment: The Truth behind Modi’s Lies’ প্রতিবেদনে সেই একই প্রশ্ন তুলে, দেশের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন দাবিকে নস্যাৎ করেছে সিপিএমের মুখপত্র ‘পিপলস ডেমোক্রেসি’।
মোদী সরকারের ধ্বংসাত্মক অর্থনীতি দেশের বেকারত্ব ভয়াবহভাবে বাড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
পিপলস ডেমোক্রেসির প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রের ইপিএফ স্কিমে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ র নভেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৮ লক্ষ মানুষ নাম লিখিয়েছেন। যার মধ্যে ৬৫ লক্ষ মানুষ আবার ২৮ বছরের নীচে। তিনি এও উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ৬৫ লক্ষ মানুষ কেন্দ্রের পেনশন স্কিমে (এনপিএস) নাম নথিভুক্ত করেন, যা ২০১৮ সালের অক্টোবরে বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২ লক্ষ।
পিপলস ডেমোক্রেসির দাবি, এই ১৭৯ লক্ষ নতুন সদস্যের মধ্যে পরে এই স্কিম থেকে সরে দাঁড়ান ১৩৯ লক্ষ। আবার পরে এই স্কিমে যোগ দিয়েছেন ৩৪ লক্ষ মানুষ। তাহলে মোট নতুন সদস্যের সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে মাত্র ৭৪ লক্ষ। যার কোনও উল্লেখ পাওয়া যায়নি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। EPFO’র একটি রিপোর্টকে সামনে রেখে সিপিএমের মুখপত্রে লেখা হয়, ইপিএফে নাম নথিভুক্ত করা মানেই এই নয় যে, ওই যুবক-যুবতীরা প্রথমবার চাকরি করছেন। এমনও হতে পারে তাঁরা নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে অন্যত্র কাজ করতেন।
পিপলস ডেমোক্রেসি লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী এও দাবি করেছেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে পরিবহণ ক্ষেত্রে এবং পর্যটন ক্ষেত্রে আরও দেড় কোটি মানুষ কাজ পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার ১০ থেকে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি নিষিদ্ধ করায় একদিকে যেমন অটোমোবাইল সেক্টরের উন্নতি হয়েছে, তেমনি নতুন কাজ পেয়েছেন প্রচুর মানুষ।
পিপলস ডেমোক্রেসির যুক্তি, পরিবহণ ও পর্যটন ক্ষেত্রে যাঁদের চাকরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকেই যে আগে অন্য কোনও পেশায় যুক্ত ছিলেন না, তার কি নিশ্চয়তা দিতে পারবে কেন্দ্র? এই বিশাল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের যে হিসেব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তা পুরোপুরি ভুল বলে দাবি ওই প্রতিবেদনে।
প্রধানমন্ত্রীর আর একটি দাবি ছিল, কেন্দ্রের মুদ্রা লোনের সাহায্যে প্রায় ৪ কোটি ২৫ লক্ষ বেকারকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিপিএমের প্রতিবেদনে যুক্তি, ওই ৪ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ প্রথমবার ঋণ নিয়েছেন মানেই এমন নয় যে তাঁরা সবাই প্রথমবার ব্যবসা শুরু করছেন। এর আগে তাঁদের মধ্যে অনেকেই অন্য ব্যবসা বা কাজে যুক্ত ছিলেন, তা হতে পারে। তাই মুদ্রা লোনের মাধ্যমে নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এই যুক্তি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পাশাপাশি, মুদ্রা লোন দেওয়ার সময় যৎসামান্য তথ্য না নিয়ে ঋণ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএমের পত্রিকা। ফলত ঋণখেলাপির আশঙ্কা বাড়ছে এবং ব্যাঙ্কিং সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে প্রতিবেদনের যুক্তি। বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই একচেটিয়াভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের মুদ্রা লোনের সুবিধা পেয়েছে বলেও অভিযোগ সিপিএমের মুখপত্রে।
জানুয়ারি মাসে জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের (এনএসএসও) অপ্রকাশিত রিপোর্ট সামনে এনে মোদী সরকারের আমলে কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে বড় প্রশ্ন তুলেছিল ইংরেজি সংবাদপত্র ‘দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালে নোটবন্দির পর সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব বেড়েছে দেশে। যা গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সম্প্রতি এনএসএসও’র আরও একটি অপ্রকাশিত রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত ৫ বছরে ২ কোটি পুরুষের কর্মসংস্থান কমেছে। যদিও কেন্দ্র দাবি করেছে, কোনটিই মূল রিপোর্ট নয়, খসড়া মাত্র।
গত ২৪ শে মার্চ ‘Employment: The Truth behind Modi’s Lies’ প্রতিবেদনে সেই একই প্রশ্ন তুলে, দেশের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন দাবিকে নস্যাৎ করেছে সিপিএমের মুখপত্র ‘পিপলস ডেমোক্রেসি’।
মোদী সরকারের ধ্বংসাত্মক অর্থনীতি দেশের বেকারত্ব ভয়াবহভাবে বাড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
পিপলস ডেমোক্রেসির প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রের ইপিএফ স্কিমে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ র নভেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৮ লক্ষ মানুষ নাম লিখিয়েছেন। যার মধ্যে ৬৫ লক্ষ মানুষ আবার ২৮ বছরের নীচে। তিনি এও উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ৬৫ লক্ষ মানুষ কেন্দ্রের পেনশন স্কিমে (এনপিএস) নাম নথিভুক্ত করেন, যা ২০১৮ সালের অক্টোবরে বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২ লক্ষ।
পিপলস ডেমোক্রেসির দাবি, এই ১৭৯ লক্ষ নতুন সদস্যের মধ্যে পরে এই স্কিম থেকে সরে দাঁড়ান ১৩৯ লক্ষ। আবার পরে এই স্কিমে যোগ দিয়েছেন ৩৪ লক্ষ মানুষ। তাহলে মোট নতুন সদস্যের সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে মাত্র ৭৪ লক্ষ। যার কোনও উল্লেখ পাওয়া যায়নি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। EPFO’র একটি রিপোর্টকে সামনে রেখে সিপিএমের মুখপত্রে লেখা হয়, ইপিএফে নাম নথিভুক্ত করা মানেই এই নয় যে, ওই যুবক-যুবতীরা প্রথমবার চাকরি করছেন। এমনও হতে পারে তাঁরা নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে অন্যত্র কাজ করতেন।
পিপলস ডেমোক্রেসি লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী এও দাবি করেছেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে পরিবহণ ক্ষেত্রে এবং পর্যটন ক্ষেত্রে আরও দেড় কোটি মানুষ কাজ পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার ১০ থেকে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি নিষিদ্ধ করায় একদিকে যেমন অটোমোবাইল সেক্টরের উন্নতি হয়েছে, তেমনি নতুন কাজ পেয়েছেন প্রচুর মানুষ।
পিপলস ডেমোক্রেসির যুক্তি, পরিবহণ ও পর্যটন ক্ষেত্রে যাঁদের চাকরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকেই যে আগে অন্য কোনও পেশায় যুক্ত ছিলেন না, তার কি নিশ্চয়তা দিতে পারবে কেন্দ্র? এই বিশাল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের যে হিসেব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তা পুরোপুরি ভুল বলে দাবি ওই প্রতিবেদনে।
প্রধানমন্ত্রীর আর একটি দাবি ছিল, কেন্দ্রের মুদ্রা লোনের সাহায্যে প্রায় ৪ কোটি ২৫ লক্ষ বেকারকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিপিএমের প্রতিবেদনে যুক্তি, ওই ৪ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ প্রথমবার ঋণ নিয়েছেন মানেই এমন নয় যে তাঁরা সবাই প্রথমবার ব্যবসা শুরু করছেন। এর আগে তাঁদের মধ্যে অনেকেই অন্য ব্যবসা বা কাজে যুক্ত ছিলেন, তা হতে পারে। তাই মুদ্রা লোনের মাধ্যমে নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এই যুক্তি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পাশাপাশি, মুদ্রা লোন দেওয়ার সময় যৎসামান্য তথ্য না নিয়ে ঋণ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএমের পত্রিকা। ফলত ঋণখেলাপির আশঙ্কা বাড়ছে এবং ব্যাঙ্কিং সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে প্রতিবেদনের যুক্তি। বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই একচেটিয়াভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের মুদ্রা লোনের সুবিধা পেয়েছে বলেও অভিযোগ সিপিএমের মুখপত্রে।
Comments are closed.