কাতার বিশ্বকাপ ছিল এক কথায় মেসির বিশ্বকাপ। রবিবার রাতে হলও তাই। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ পেল আর্জেন্টিনা। সোনার ট্রফি উঠলো ফুটবলের ম্যাজিক ম্যানের হাতে। লুসেইল স্টেডিয়ামে তো বটেই সারা বিশ্ব তখন মেসি ময়। একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ শেষে আনন্দে মাতোয়ারা টিম আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনালে ম্যাচেও জয়ের পরে যাঁকে শান্ত থাকতে দেখা গিয়েছিল, সেই স্কালোনিও মেসিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। চোখে জল ডি’মারিয়ারও। কিন্তু যাঁর জন্য এই বিশ্বকাপ এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল, কার্যত গোটা ফুটবল দুনিয়া যাঁর হাতে ট্রফি দেখতে চেয়েছিল সেই মেসি? ম্যাচ শেষেও তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল ফুটবল দুনিয়া। তিনি কী করেন?
জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি জিতেও সেই লিও যেন কিছুটা সংযত। সহ খেলোয়াড়দের সঙ্গে উদযাপযে মাতলেও বলের মতো আবেগকেও যেন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখলেন। তুমুল হৈচৈ-এর মধ্যেও দেখা গেল দর্শক আসন থেকে নিজের সন্তানদের ডেকে নিচ্ছেন। মাঠে দেখা যাচ্ছে শৈশবের প্রেমিকা এবং স্ত্রী অন্তলিনাকেও। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের মতোই জীবনের সব থেকে আনন্দের মুহূর্তটি ভাগ করে নিচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে। কখনও দেখা যাচ্ছে সন্তানদের জড়িয়ে ধরতে। আবার কখনও স্ত্রী’র হাতে বিশ্বকাপ। আর ছবি তুলছেন স্বয়ং মেসি। যাঁকে দেখলে ক্যামেরা ঝলসে ওঠে, যাঁর একটা সাক্ষাৎকার পাওয়ার জন্য বিশ্বের তাবড় তাবড় সাংবাদিকরা মুখিয়ে থাকেন সেই মেসি ফোন হাতে নিজের স্ত্রীর ছবি তুলছেন। আর এখানেই মেসি যেন অসাধারণ। সাফল্যের সব স্তর পেরিয়ে তিনি যেন পাশের বাড়ি কেউ একজন। মেসির এই ভূমিকাতেই মজেছে তাঁর অগুনতি ভক্ত। এই অন্য মেসিও বিশ্ববাসীর মন ছুঁয়েছে। বিশ্ব জয় করলেও তিনি যেন সবার আগে পরিবারেই।
Comments are closed.