সম্প্রতি বিএসএফ-গুলিতে নিহত হয়েছেন ২৪ বছরের যুবক প্রেমকুমার বর্মন। আর এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। শনিবার কোচবিহারের জনসভায় মঞ্চে তোলেন নিহত যুবকের পরবারকে। যুবকের মা,বাবা,দাদাকে পাশে নিয়ে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, যুবকের পরিবারকে ন্যায় পাইয়ে দিতে তিনি সব কিছু করবেন। অভিষেকের কথায়, “হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট যতদূর যেতে হয় যাব, আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব”।
শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা কলেজ ময়দানে জনসভা করেন অভিষেক ব্যানার্জি। প্রত্যাশিত ভাবেই জনসভায় বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত নিয়ে কেন্দ্রকে ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ শানান তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু তারপরেই প্রেমকুমার বর্মনের মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদে জানাতে গিয়ে কার্যত অন্য রূপে দেখা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। বক্তব্যের মাঝেই মঞ্চে ডেকে নেন নিহত যুবকের পরিবারকে। অভিষেককে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত প্রেমকুমারের মা। ছেলের মৃত্যু প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে বৃদ্ধ বাবারও। অভিষেক বক্তব্য থামিয়ে মঞ্চেই প্রেমকুমারের মা’কে সান্তনা দেন, চোখের জল মুছিয়ে দেন। সেই সঙ্গে নিহতের বড় ভাইকে নিজের ফোন নম্বর দিয়ে বলেন, যে কোনও দরকারে যেন তাঁরা যোগাযোগ করেন।
এখানেই থামেননি অভিষেক ব্যানার্জি। প্রেমকুমারের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখিয়ে তাঁর চাঞ্চল্যকর দাবি, রিপোর্টে বলছে যুবককে ১০৮টা গুলি করা হয়েছিল। এরপরেই অভিষেক বলেন, তিনি পুরো ঘটনাটা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন। এই নৃশংস হত্যার পিছনে যে অফিসারও থাকুক, কোনও ভাবেই অভিযুক্ত ছাড় পাবেন না। অভিষেকের কথায়, অভিযুক্তর মাথার ওপরে যদি দেশের প্রধানমন্ত্রীরও হাত থাকে, তিনি তাও এর শেষ দেখে ছাড়বেন।
Comments are closed.