দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার দুলকি গ্রামে তৈরি হয়েছিল একটি হোটেল। পরিবেশের ক্ষতি করে গড়ে উঠেছিল ওই হোটেল বলে অভিযোগ করেছিল দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম। দায়ের হয়েছিল মামলাও। সেই মামলায় ওই হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। ১৪ মে-র মধ্যে ওই হোটেল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ে খুশি পরিবেশকর্মীরা।
দুলকি গ্রামের দত্তা নদীর পাড়ে প্রায় সাড়ে ৮ একর জায়গায় তৈরি হয়েছিল হোটেলটি। উপকূলরক্ষা আইনকে নস্যাৎ করে এই নির্মাণ হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের। এই মামলায় আদালত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শনের পর প্রতিনিধিরা আদালতকে জানায় কোস্টাল রেগুলেশন জোনের নো ডেভেলপমেন্ট জোন এলাকাতেই রয়েছে হোটেলটির ৬৫ শতাংশের বেশি অংশ। এরপরেই হোটেলটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদলত।
উল্লেখ্য, পরিবেশ দূষণ পৌঁছেছে ভয়াবহ জায়গায়। বাংলার উত্তরের পার্বত্য ডুয়ার্স এবং উপকূলবর্তী সুন্দরবন এলাকা ভরে গিয়েছে বেআইনি নির্মাণে। পরিবেশরক্ষা করতে তৎপর স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম। আর বেআইনীভাবে গড়ে ওঠা হোটেল ভাঙার নির্দেশ পেয়ে খুশি ফোরামের সদস্যরা।
Comments are closed.