এশিয়ার প্রথম মহিলা কলেজ বেথুন পেল ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল অথবা ন্যাকের এ+ গ্রেড। শিক্ষাদান, গবেষনা পদ্ধতি, পরিকাঠামো সহ আরও বেশকিছু ক্ষেত্রে ইউজিসি স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পর্যালোচনা করে ন্যাক। সেইসব বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে বেথুন কলেজকে এ+ গ্রেড দিল ন্যাক। বিগত কয়েকবছর ধরে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন করছে ন্যাক। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৫টি কলেজ ন্যাকের এ+ গ্রেড। এগুলি হল রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন ও বেলুড় বিদ্যামন্দির, মেদিনীপুর কলেজ, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও বেহালা কলেজ।
গত মঙ্গলবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বেথুন কলেজ এই স্বীকৃতি পায়। বেথুন কলেজ ৩.২৬ স্কোর পেয়েছে। ন্যাক এর এ+ গ্রেড পাওয়ার পর বেথুন কলেজের অফিসার ইন চার্জ অনুশিলা হাজরা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগামী দিনে সব দিক থেকে এই কলেজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় যেতে কোনও বাধা যেন পেতে না হয়, সেইদিকে নজর দেওয়া হবে কলেজের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি কলেজের পড়াশোনার মানও বজায় রাখা হবে।
উল্লেখ্য, ১৮৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেথুন কলেজ। দেশের অনেক মহীয়সী মহিলা এই কলেজ থেকে পাশ করেছেন। ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক এই কলেজ থেকেই হন ডা. কাদম্বিনী গাঙ্গুলি ও চন্দ্রমুখী বসু। পরবর্তীকালে কাদম্বিনী গাঙ্গুলি দেশের প্রথম চিকিৎসক হন। চন্দ্রমুখী বসু ভারতের প্রথম মহিলা প্রিন্সিপাল হিসেবে বেথুন কলেজেই নিযুক্ত হন। এই কলেজ থেকে পাশ করেন স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা যোশী, সরলা দেবী চৌধুরাণী সহ আরও অনেকে। এই কলেজই এশিয়ার প্রথম মহিলা কলেজ। ন্যাকের এ+ গ্রেড পাওয়ার পর খুশি কলেজের প্রাক্তনীরা ও কলেজ পড়ুয়ারা।
Comments are closed.