সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভ্রাম্যমাণ পানের দোকান। নাম কিশোরী পানওয়ালা। থাকেন হুগলির হিন্দমোটরের ধারষা এলাকায়। তাঁর ভ্রাম্যমাণ পানের দোকানে রয়েছে হরেকরকম পান। মিষ্টি পান, জর্দা পান, ফায়ার পান সহ অনেক রকমের পান। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নানান রকমের পান পৌঁছে দেন তিনি। সকাল হলেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আর ওই সাইকেলের মধ্যে সাজানো পানের ডালি।
কিশোরীর এই অভিনব উদ্যোগ দেখে খুশি এলাকাবাসীরা। বাড়িতেই অনেকে অপেক্ষা করে থাকেন কিশোরীর হাতের পান খাওয়ার জন্য।
কিশোরীর বাড়ি জন্মসূত্রে বিহারে। সেখানেই থাকে ছেলে, বউ সহ গোটা পরিবার। একসময় এক বেসরকারি সংস্থায় গাড়ি চালিয়ে পেট চালাতে হত কিশোরীকে। কিন্তু করোনার সময় সেই চাকরি চলে যায়। বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চালানো। লকডাউন খুলতেই পান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল জনপ্রিয় হয়েছেন কিশোরী। তিনি ভাইরাল হয়েছেন কিশোরী পানওয়ালার নামে। এখন পান বিক্রি করে কিশোরীর আয় হয় রোজ চারশো থেকে পাঁচশো টাকা। উত্তরপাড়া হিন্দমোটর ছাড়াও হাওড়াতেও পান বিক্রি করতে যান কিশোরী। বালি, বেলুড় সহ নানান এলাকায় পান বিক্রি করেন। আর পানের দাম? ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ টাকা দামের পান পাওয়া যায় কিশোরীর কাছে।
Comments are closed.