সর্বভারতীয় জল সংরক্ষণ বিষয়ক সম্মেলন শেষ হল সম্প্রতি। রাজস্থানের উদয়পুরের এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-আমলা থেকে শুরু করে রাজস্থান, ওড়িশা এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন একাধিক দপ্তরের উপ মুখ্যমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীরা। জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলনে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়।
এই বৈঠকে সারা দেশের সামনে জল সংরক্ষেণের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া একাধিক প্রকল্পের সাফ্যলের কথা তুলে ধরেন পুলকবাবু। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প নিয়েছে তাঁর সরকার। যার মধ্যে অন্যতম হল ‘জল ধরো জল ভরো’ এবং ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প। যা সম্মেলনে উপস্থিত বিশিষ্টরা প্রশংসা করেছেন বলেও জানা গিয়েছে।
‘২০৪৭-এ ভারত হবে একটি ‘জল সুরক্ষিত দেশ’। এই লক্ষ্যে হওয়া এই সম্মেলনে সারা দেশের প্রতিনিধিদের সামনে এই ক্ষেত্রে বাংলার সাফ্যলের কথা তুলে ধরতে গিয়ে, পুলকবাবু জানিয়েছেন, ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের মাধ্যমে বৃষ্টির জল ধরে রেখে মূল্যবান জলসম্পদ উন্নয়ন সুনিশ্চিত করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারের ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলিতে শুখা মাটিতেও কৃষিকাজ সুনিশ্চিত করা হয়েছে তাও এই সম্মেলনে তুলে ধরেন মন্ত্রী। আবার জল সরবারহের সময় এবং ধূসর জল ব্যাবস্থাপনার কারণে জল নষ্ট হওয়া ঠেকানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন পুলকবাবু।
Comments are closed.