শিক্ষক নিয়োগের মামলায় বেনিয়ম নিয়ে রাজ্যে এখনও হৈচৈ চলছে। শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এ নিয়ে বিরোধীরা তৃণমূলকে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছে। যা নিয়ে শাসক বনাম বিরোধীদের রাজনৈতিক তরজা চরমে পৌঁছেছে। এই আবহে রেলে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন এক চাকরী প্রার্থী। মামলকারীর অভিযোগ, মেধা তালিকায় তাঁর পরে নাম রয়েছে এমন অনেকে চাকরী পেলেও তিনি পাননি। ঠিক কী অভিযোগ ওই প্রার্থীর?
হুগলির হরিপালের বাসিন্দা সোনালি সেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১২ সালে তিনি রেলের চাকরির জন্য পরীক্ষা দেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে থাকলেও এখনও নিয়োগ পাননি। এই মর্মে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে তিনি মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। মামলকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন তাঁর মক্কেল। লিখিত পরীক্ষায় পাশের পর মৌখিক পরীক্ষাও দেন তিনি। মেধাতালিকায় তাঁর নাম ওয়েন্টিং লিস্টে ছিল। রেলের তরফে তাঁকে জানানো হয়, ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়েতে তাঁকে আবেদন করতে হবে। কিন্তু আবেদন পর চার বছর কেটে গেলেও নিয়োগপত্র পাননি সোনালি। এরপরেই আরটিআই করে তিনি জানতে পারেন, মেধাতালিকায় তাঁর পরে নাম রয়েছে এমন অনেকে চাকরি পেলেও তিনি পাননি। এই মর্মেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে রেলে নিয়োগের দুর্নীতি ঘিরে শাসক বিরোধী তরজা কোন খাতে বয় এখন সেটাই দেখার।
Comments are closed.