যশে গেছে সব, দুর্দশা ভুলে দৈনিক ৮০০ গ্রামবাসীকে খাওয়াচ্ছেন চন্দন
চন্দনের এই মানবিক উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গায়িকা ইমনও। তাঁর সংগীত একাডেমির পক্ষ থেকে চন্দনের হাতে অর্থ সাহায্য তুলে দিয়েছেন তিনি
বাড়ি বলতে এখন কতগুলো ইটের স্তুপ। যশের তান্ডব ও ভরা কোটালে রুপনারায়ণের জলোচ্ছ্বাসের দাপটে কার্যত মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে এক গ্রামবাসীর বাড়ি। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। নিজে সর্বহারা হয়েও দুর্যোগের সময় প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। গৃহহীন লোকটা স্থানীয় ক্লাবের সাহায্যে রোজ ৮০০ জন গ্রামবাসীর দিনে দুবেলা খাওয়ারের ব্যবস্থা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। সংগীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী তাঁর সংস্থা ইমন সংগীত একাডেমির উদ্যোগে যশ বিধ্বস্ত তমলুক এবং সংলগ্ন এলাকায় মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যান। ইমনের করা একটি ফেসবুক লাইভ থেকেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ওই ব্যক্তির নাম চন্দন।
যশ এবং ভরা কোটালে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চন্দনদের গ্রামও রক্ষা পায়নি। ঝড়ের তান্ডব থেকে প্রাণে বাঁচতে গ্রামবাসীরা ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ শিবিরে। রাস্তাঘাট ভেসে যাওয়ায় সরকারের পাঠানও খাদ্য সামগ্রীও হয়তো তখনও এসে পৌঁছায়নি। নিজের দুর্দশার কথা ভুলেই প্রতিবেশীদের সাহায্যে উদ্দ্যোগী হয়েছেন চন্দন। চন্দনের এই মানবিক উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গায়িকা ইমনও। তাঁর সংগীত একাডেমির পক্ষ থেকে চন্দনের হাতে অর্থ সাহায্য তুলে দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ফেসবুক লাইভে চন্দনদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদনও জানিয়েছেন।
উল্লেখ বৃহস্পতিবার ইমন এবং তাঁর সংগীত একাডেমির বাকি সদস্যরা শুকনো খাওয়ার ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের তমুলক যান। ঘর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থে মানুষদের হাতে তুলে দেন ত্রাণ। কয়েকদিন ধরেই এই কাজের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রাউড ফান্ডিংও করছেন তিনি। এদিনও ফেসবুক লাইভ গায়িকা বলেন, আমাদের সাধ অনেক কিন্তু সাধ্য খুব কম। তাই যাঁর পক্ষে যতটুকু সম্ভব যদি এগিয়ে আসেন, আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীতে এখনও অনেক ভালো মানুষ আছেন।
Comments are closed.