সুন্দরবনে হাউসবোট চালানোর উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। সুন্দরবনকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এ বিষয়ে পর্যটন দফতর উদ্যোগ নিতে শুরু হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
সম্প্রতি নবান্ন সভাঘরে শিল্প সংক্রান্ত বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সুন্দরবনে পর্যটক টানতে আর কী কী নতুন পরিষেবা চালু করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি। প্রাকৃতিক ভারসাম্য অক্ষুণ্ণ রেখে সুন্দরবনে কী করা যায় তা আধিকারিকদের ভেবে দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটন দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, কেরলে যেমন ব্যাক ওয়াটার আছে, তেমন সুন্দরবনে রয়েছে প্রচুর খাঁড়ি। যে সব খাঁড়ি পর্যটকদের জন্য নিরাপদ, সেখানে কেরলের মতো হাউসবোটের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটন দপ্তর এই পরিষেবা চালু করার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
প্রতি বছর দেশি-বিদেশি সহ কয়েক হাজার পর্যটক সুন্দরবনে বেড়াতে যান। হাউসবোট চালু হলে পর্যটকদের সুরক্ষা নিয়েও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে পর্যটন দফতর জানিয়েছে। সেফ জোন বা সুরক্ষিত এলাকা চিহ্নিত করা হচ্ছে। আধিকারিকরা বলছেন, এরকম এলাকা চিহ্নিত করার মানে এই নয় যে সুন্দরবনের সৌন্দর্য এবং অ্যাডভেঞ্চার থেকে বঞ্চিত হবেন পর্যটকরা। হাউসবোটে চেপে জলে ভেসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।
এখন সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে পর্যটকদের জন্য চালু রয়েছে লঞ্চ বা স্টিমার পরিষেবা। হাউসবোট চালু হলে এক ধাক্কায় পর্যটকদের আগ্রহ ও উৎসাহ অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশাবাদী পর্যটন দফতরের কর্তারা। আগামী শীতের আগেই এই পরিষেবা চালু করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Comments are closed.