কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলায় সম্মতি কেজরিওয়ালের, পাল্টা মামলা ফাস্ট ট্র্যাক করার আবেদন বাম নেতার
সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমারের অস্বস্তি বাড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে আইনি পদক্ষেপ করার সম্মতি দিল দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। ২০১৬ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র সংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমার-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যে কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনে দিল্লি পুলিশ। গত বছর থেকে এই সংক্রান্ত একটি ফাইল পড়েছিল দিল্লি সরকারের কাছে। সূত্রের খবর, গত বছর ১৪ জানুয়ারি কানহাইয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের মাত্র দু’ঘণ্টা আগে দিল্লি সরকারের কাছে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে চেয়ে আবেদন করেছিল দিল্লি পুলিশ। দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, বেআইনিভাবে জমায়েত হওয়া, নথি হিসেবে ভুল প্রমাণ ব্যবহার করা, দাঙ্গা হাঙ্গামার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
দিল্লি সরকারের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরই শুক্রবার রাতে দুটি ট্যুইট করেছেন কানহাইয়া কুমার। সেখানে তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা করা হচ্ছে তা যেন ফাস্ট ট্র্যাক করা হয়, যাতে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে আসল সত্য সকলের সামনে উদ্ঘাটিত হয়।
২০০০ সালে সংসদ-হামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদে ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একটি কর্মসূচি নেওয়া হয় জেএনইউ ক্যাম্পাসে। সেখানে দেশবিরোধী কথা বলার অভিযোগ ওঠে কানহাইয়া কুমার, উমার খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁরা জামিনে ছাড়া পান।
Comments are closed.